পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৫৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪শ বর্ষ, ষষ্ঠ সংখ্যা । Paul and Virginia, Theodosius, Constancia ●वठ्ठङि शूखक ७ १ब्र बांत्राणां राiशTी कब्रिघ्नी শুনাইতেন । তাছা হইতে, এবং মাতামহী-সংগৃহীত ‘মহানাটক’, ‘কোকিলদূত’, ‘যোজনগন্ধা’, ‘বাসবদত্ত", “ইসফ জেলেখা," “কবিকঙ্কণ" প্রভৃতি পাঠ করিয়া গিরীন্দ্রমোহিনীর কাব্য-প্রতিভা স্ফরিত হইয় উঠে। দশ বৎসর বয়সে গিরীন্দ্রমোহিনীর বিবাহ হয় । র্তাহার স্বামী ৮ নরেশচন্দ্র দত্ত বস্থবাজারনিবাসী সন্ত্রান্ত জমিদার ৮ অক্রর দত্ত মহাশয়ের প্রপৌত্র e' দুর্গাচরণ দত্তের কণিষ্ঠ পুত্ৰ । বিবাহের পর, বিদ্যাশিক্ষায় ব্যাঘাত জন্মিলেও কাবানুরাগ বিন্দুপরিমাণে শিথিল হয় নষ্ট । শিক্ষ। নীনাপথে উাহীর প্রতিভাকে চালিত করিয়াছে । স্বচীর সূক্ষ্ম শিল্প এবং রন্ধনাদিকার্য্যে গিরীন্দ্রমোহিনী সুনিপুণ । পরিণত বয়সে চিত্রকার্যোও তিনি সুপটু হইয়াছেন । র্ত’হার অঙ্কিত অনেকগুলি উৎকৃষ্ট চিত্র বঙ্গদেশের নীন শিল্প প্রদর্শনীতে সমাদর ও পদ কাদি লাভে সমর্থ হইয়াছে, ইহা অল্প প্রশংসার কথা নহে ! গিরীন্দ্রমোহিনীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতাহীর’ প্রকাশ সম্বন্ধে বেশ একটু ইতিহাস আছে। ইংরাজী ১৮৭০ খ্ৰীষ্টাব্দে উtহার রচিত গদ্যে পদ্যে লিখিত কয়েকখানি পত্র তাহার স্বামীর জনৈক বন্ধু “জনৈক হিন্দু-মহিলার পত্র" নাম দিয়া প্রকাশ করেন। পত্র প্রকাশিত হইলে, নববধূ গিরীন্দ্রমোহিনী অতিশয় লজ্জিত ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত হইয় প্রবাসী স্বামীকে লিখিয়াছিলেন, “যদি আমার রচনা লোককে দেখাইতে এত ইচ্ছা হইয়াছিল, তবে বলিলে আমি অন্ত কবিতা না হয় দিতাম। পত্র কেন প্রচার করিলে ?” ইহার ফলেই গিরীন্দ্রমোহিনীর প্রথম কবিতাগ্রন্থ “কবিতাহার” প্রকাশিত হয় । ‘কবিতাহারের’ সমালোচনা-প্রসঙ্গে বঙ্কিমচন্দ্রের উক্তি পূৰ্ব্বেই উল্লিখিত ह३झोप्छ् । গিরীন্দ্রমোহিনীর প্রকৃতিটি প্রকৃতই কবিজনেচিত। .গৰ্ব্ব নাই, দ্বেষ নাই, আড়ম্বর নাই ! শাস্ত মৃদ্ধ কথাবার্তায়, মিষ্ট মধুর বচনে অবরোধ-ৰাগিণী কবি নিতান্তই যেন ‘প্রকৃতিপালিতা' । আজো পৰ্য্যস্ত "অশ্র কণা’-রচয়িত্রী । ○ ス? $fā sistą-zşfs fost ( serious house-wife ) নছেন। কিন্তু ভবসমুদ্রের কুল তিনি আবার সমুঞ্জেরই মত গম্ভীর। গিরীন্দ্রমোহিনীর জীবনে আর একটি উল্লেখ যোগ্য ঘটনা, ভারতী-সম্পাদিকার সহিত উহার অকৃত্রিম সখ্য । এমন সখ্যভাব সাহিত্য-জগতে —বিশেষতঃ প্রতিদ্বন্দিতার ক্ষেত্রে—বিরল বলিলেও অতু্যক্তি হয় না। এই সখ্যভাব আঞ্জীবন সমভাবে রহিয়াছে । ভারতী সম্পাদিকা তাহার রচিত ‘স্নেহলতা” গিরীন্দ্রমোহিনীকে উপহার প্রদান করিয়াছেন, গিরীন্দ্রমোহিনীও সখীকে তদুঃচিত “শিখা" প্রত্যুপহার দিয়াছেন। ইহুদিগের পরস্পরের প্রীতি-সম্পর্কের নাম, “মিলন”। একদিন গিরীন্দ্রমোহিনী ভারত ' সম্পাদিকার সহিত সাক্ষাৎ করিতে অমিয়া আপনার মাথার চুলের কঁটে ফেলিয়া যান, সেই ছলে উহাকে লক্ষ্য করিয়া ভারতী- সম্পাদিকা এই কবিতাটি রচনা করিয়াছিলেন,— অধরে মোহন হাস, নয়নে অমৃত ভাদে, বিরহ জগ তে শুধু মিলন পরাণে অী:স । কই রে মিলন কোথা, সে কি হেথা আছে আর । রাখিয় গিয়াছে শুধু গরল পরশ তার । ফুলট দে দিয়ে গেছে প্রভাতের আলো নিয়ে, হাদি যত নিয়ে গেছে, অশ্রুজল গেছে দিয়ে । সন্ধা করে দিয়ে গেছে, নিয়ে গেছে সন্ধ্যা-তার আঁধার পড়িয়া আছে সুষম হইয়। হার ফুলটা সে নিয়ে গেছে ফেলে গেছে কাটাছুট, বিরহ কঁদিয়া সারা নয়ন মেলিয়ে উঠি । গিরিন্দ্রমোহিনী “আভাষে।” স্বীয় লিখিতেছেন :– .م. মিলন মিলন কত বারই বলি, কই রে মিলন কই ? মিলন চাহিতে বিরহ-সায়রে, ডোব-ডোব তরী সই ! ভাসা ভাসা নদী, আশাভর তরী বেয়ে চলি ধীfর ধীরি, সর্থীকে