পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 в डांब्रडी | ভয়ে ভয়ে থাকে পাছে নিয়মের ক্রটিতে অপরাধ ঘটে—এই জন্তেই সবাইকে সরিয়ে সরিয়ে নিজেকে বঁচিয়ে বঁচিয়ে চলতে হয়। শুধু তাই নয়, নিয়মপালনের একটা অহঙ্কার মানুষকে শক্ত করে তোলে, নিয়মপালনের একটা লোভ তাকে পেয়ে বসে এবং এই সকল নিয়মকে ধ্রুব ধৰ্ম্ম বলে জানা তার সংস্কার হয়ে যায় বলেই যেখানে এই নিয়মের অভাব দেখতে পায় সেখানে তার অত্যন্ত একটা অবজ্ঞা জন্মে । য়িহুদি এই জন্যে আপনার ধৰ্ম্মনিয়মের জালের মধ্যে আপনাকে আপাদমস্তক বন্দী করে রেখেছে ; ধৰ্ম্মের ক্ষেত্রে সমস্ত মানুষকে আহবান করা এবং সমস্ত মানুষের সঙ্গে মেলা তাদের পক্ষে সম্ভব নয় । বর্তমান হিন্দুসমাজ ও ধৰ্ম্মের দ্বারা নিজেকে পৃথিবীর সকল মানুষের সঙ্গেই পৃথক করে রেখেছে । নিজের মধ্যেও তার বিভাগের অস্ত নেই। বস্তুত নিজেকে সকলের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করবার জন্তেই সে নিয়মের বেড়া নিৰ্ম্মাণ করেছিল । বৌদ্ধধৰ্ম্ম ভারতবর্ষীয়কে সকলের সঙ্গে অবাধে মিলিয়ে দিচ্ছিল বর্তমান হিন্দুধর্মের সমস্ত নিয়মসংযম প্রধানত তারষ্ট । প্রতিকারের প্রবল চেষ্টা । সেই চেষ্টাটি আজ পর্যন্ত রয়ে গেছে। সে কেবলি দূর করচে, কেবলি ভাগ করচে, নিজেকে কেবলি সঙ্কীর্ণ বদ্ধ করে আড়াল করে রাখবার উদ্যোগ করচে। হিন্দুর ধৰ্ম্ম যেখানে, সেখানে বাহিরের লোকের পক্ষে সমস্ত জানলা দরজা বন্ধ এবং ঘরের লোকের পক্ষে কেবলি বেড়া এবং প্রাচীর । অন্ত দেশে অদ্য জাতির মধ্যে স্বাতন্ত্র্য বৈশাখ, ১৩১৭ রক্ষার জন্তে কোনো চেষ্টা নেই তা বলতে পারিনে । কারণ, স্বাতন্ত্র্য রক্ষার প্রয়োজন আছে, সে প্রয়োজনকে অস্বীকার করা কোনোমতেই চলে না । কিন্তু অন্তভ্র এই স্বাতন্ত্র্য রক্ষার চেষ্ট রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক । অর্থাৎ এই চেষ্টাটা সেখানে নিজের নীচের তলায় বাস করে । মিলনের বৃত্তিটি স্বাতন্ত্র্য চেষ্টার উপরের জিনিষ । ক্রীতদাস রাজীকে খুন করে সিংহাসনে চড়ে বসলে যেমন হয় স্বাতন্ত্রাচেষ্টা তেমনি মিলনধৰ্ম্মকে একেবারে অভিভূত করে দিয়ে তার উপরে যদি আপনার স্থান দখল করে বসে তাহলে সেই রকমের অদ্যায় ঘটে । এই জন্তেই পারিবারিক বা সামাজিক ব! রাষ্ট্রীয় স্বার্থবৃদ্ধি মানুষকে স্বাতন্ত্র্যের দিকে টেনে রাখতে থাকূলে ও ধৰ্ম্মবুদ্ধি তার উপরে দাড়িয়ে তাকে বিশ্বের দিকে বিশ্বমানবের দিকে নিয়ত আহবান করে । আমাদের দেশে বর্তমান কালে সেই খানেই ছিদ্র হয়েছে এবং সেই ছিদ্র পথেই এ দেশের শনি প্রবেশ করেছে। যে ধৰ্ম্ম মানুষের সঙ্গে মাতুষকে মেলায় সেই ধৰ্ম্মের দোঙ্গাই দিয়েই তামরা মানুষকে পৃথক করেছি। আমরা বলেছি মানুঘের স্পর্শে, তার সঙ্গে একাসনে অtহারে, তার আহরিত অন্নজল গ্রহণে মানুষ ধৰ্ম্মে পতিত হয় । বন্ধনকে ছেদন করাই যার কাজ তাকে দিয়েই আমরা বন্ধনকে পাকা করে নিয়েছি—তা হলে আজ অtমাদের উদ্ধার করবে কে ? আশ্চৰ্য্য ব্যাপার এক্ট, উদ্ধার করবার ভার আজ আমরা তারই হাতে দিতে চেষ্টা করচি যে জিনিষটা ধৰ্ম্মের চেয়ে নীচেকার । আমরা