পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ు: ভাৱৰ্তী । রাস্তায় রাস্তায় ঘুরিয়া বেড়াইতেছে এবং কাঠের কৰ্ত্তাল-সমন্বিত একটা কাঠের যন্ত্র নাড়িয়া ক্রেতাদিগকে আহবান করিতেছে —এইমাত্র একটা হোটেলের সম্মুখে একজন চীনের নিকট হইতে একটা নুতন সাদা পরিচ্ছদ ক্রয় করিলাম ; একটু পরেই দেখিতে পাইলাম, উহার গায়ে একটা পুরাতন কালীর দাগ । নুতন বলিয়া চালাইবার জন্য চীনেলোকট। খড়িমাটির প্রলেপ দিয়া ঐ কালীর দাগ সযত্নে ঢাকিবীর চেষ্টা করিয়াছে। অপরাহ্লের শেষভাগে ও সায়াহ্নে, ওলন্দাজ পুরুষ ও ওলন্দাজ রমণীরা গৃহ হইতে বাহির হয় । খোলামাথায় রাস্তায় পদচারণা করে। অধিকাংশ যুবতীর নগ্ন বাহু, অৰ্দ্ধেক বুক খোলা। কেহ কেহ, নিজ গৃহের সম্মুখে, পাজাম পরিয়া, দেশী পরিচ্ছদ সারং’ পরিয়া, থাটে রাত-কাপড় ( Night-dress) পরিয়া, নগ্ন পায়ে চটজুতা পরিয়া দাড়াইয় থাকে। যুরোপীয় মুখশ্রী ও দেশীয় মুখখীর অপূৰ্ব্ব মিশ্রণ দেখিয়া মেটে-ফিরিঙ্গিদিগকে বেশ চেনা যায়। কতকগুলি ইস্কুলের বালিকা এইখান দিয়া চলিয়া গেল –ওলন্দাজ বালিকা দিগের কটা চুল, ও ফিরিঙ্গি বালিকাদিগের কালো চুল,-দুই বিপরীত রং-এর মধুর সন্মিলন । হোটেল । ওলন্দাজ হোটেলটি এই অত্যুষ্ণ দেশেরই উপযোগী। খাবার ঘরের মাথার উপর ছাদ, কিন্তু চারিদিকে থেtলা।– আমাদের ভোজন-শালায়, হল্যাণ্ডের তরুণবয়স্ক রাণীর অৰ্দ্ধকারিক প্রতিমূৰ্ত্তি বিরাজ করিতেছে। নগ্নপদে দেশীয় ভৃত্যের পরিবেশন ও পরিচর্য্যা করিতেছে।--Koenings দিবারাত্রি হওয়া চলিতেছে। বৈশাখ, ১৩৪৭ plein হইতে বৃহৎ খাল পর্য্যন্ত যে গলি গিয়াছে, সেই গলির বরাবর ভোজনশালাগুলি সন্নিবেশিত ; ভোজনশালাগুলি খুব বড়, জাল্লায় শাসি-দরজা নাই ;–এই খোলা জানলা দিয়া খাটে মশারি আছে, একটা গদি তক্তার মত শক্ত, তার উপর একটা চাদর পাতা। একটা মাথার বালিস, আর দুই পায়ের অন্তৰ্ব্বত্তী স্থানে একটা বালিস–পাছে দুই পায়ের ঘসাঘসিতে বেশি গরম হয়, এই জন্ত এই বালিস্। স্নানের ঘরে একটা মস্ত জালা ; একটা চতুষ্কোণ কাঠ-পত্ৰ দিয়া উহা হইতে ঠাণ্ড জল উঠাইয়া १jां८ग्न छठिcड श्ञ्च । এখানকার একটা রান্না খুব নুতন ধরণের ; ভারতীয় ইংরাজদের যেরূপ কারি-ভাত, সেই কারি-ভাত অপেক্ষাও ইহা বেশী বিমিশ্র ; বিবিধ চাটুনি-রসে সুমিত্ত ও খুব বেশি গরম-মশলা দেওয়া ভাত ; সেই ভাতের সহিত নানাপ্রকার মাংস ও শাক শবজি মিশ্রিত ;–তার মধ্যে গোমাংস আছে, মহিষ-মাংস আছে, মুর্গির মাংস আছে, মৎস্ত আছে, , ডিম্ব আছে, আমূলেটের টুকুরো আছে, সকল জাতীয় শাকুসবজি আছে, নারিকেলের গুড় আছে—গরম দিনে যখন অগ্নিমান্য হয়, তখন এই ব্যঞ্জনট বাস্তবিকই খুব মুখরোচক । বাতবিয়ার ওলন্দাজেরা যে নিয়মে জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করে, হোটেলেও প্রায় সেই একই নিয়ম দৃষ্ট হয় –৬টা ৭টার মধ্যে শয্যা হইতে গাত্রোর্থীন, স্নান, সদুগ্ধ কাফি পান ; কাজকৰ্ম্ম কিংবা পদচারণা ; ৯টার সময় চা-এর সঙ্গে ঠাণ্ডা’ প্রাতরাশ ; বাড়ী বসিয়া