পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ ভারতী । এখীর তত্ত্বধায় পত্নীর পাল । রাজা কছিলেন, তত্ত্ববায়ু পত্নী ব্রাহ্মণকে বিবাহ করিলেই সে তাহার স্বামী পাইবে । তত্ত্ববায় পত্নী ইহাতে অস্বীকৃত হওয়ায় এবারও ব্রাহ্মণের কোন সাজ হইল না। পরিশেষে কাঠুরিয়ার কথা শুনিয়া রাজা বলিলেন,— তাহার পক্ষে কুঠার হস্তে না লইয়া দন্তে বহন এবং অপর জগতের কথা । সে অপর জগতের কথা । সেখানকার সঙ্গে এখানকার কিছুই মেলে না । সে জগৎ এখান থেকে অনেক দূর ;–অনন্ত আকাশের অসংখ্য নক্ষত্রমণ্ডলীর মাঝখানে কোনে! এক জায়গায় তাহার স্থান । সেখানকার এক পুরুষ ও এক রমণীর কথা বলিব । তাহারা জুইজনে সৰ্ব্বদা একত্রে মিলিয়া থাকিত ;—দুজনের মধ্যে কোথাও वि८झा झ्ठिा नौं ! সেখানে এক প্রকাগু বন ; তাহাতে ঘন ঘন গাছের সারি !—এক গাছ অপর গাছের সহিত গায়ে গায়ে ঠেকিয়া আছে, মধ্যে এতটুকু ব্যবধান নাই । বনের যা-কিছু-সকলই এক অপরের সহিত নিবিড়ভাবে মিলিয়া আছে । কোথাও বিচ্ছেদ নাই ;–পাতায় পাতায়, ডালে ডালে, ফলে ফলে, ফুলে ফুলে ঠাসা । আকাশের বাতাস, আকাশের জল এবং সেখানকার যে চন্দ্রস্বৰ্য্য তার রশ্মি পৰ্য্যন্ত সেই গহন বনের বনস্পতি আর তরুলতাদের সুদৃঢ় মিলন ভাঙিয়া প্রবেশের পথ পায় না । সেই বনের মাঝে এক মন্দির । সে যে কতকালের তার ঠিক নাই ! সে মন্দিরে কেহ থাকিত না, রাত্রে সেখানে দেবতার বৈশাখ, ১৩১৭ ব্রাহ্মণের পক্ষে সে সময় তাহাকে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা এই উভয়ই অনুচিত হইয়াছে সুতরাং তাহান্ন দন্ত উৎপাটিত ও ব্রাহ্ম:ণর জিহবt কৰ্ত্তিত হউক । কাঠুরিয়া একে কুঠারের শোক সম্বরণ করিতে পারে ना३: उझ्थब्रि प्रख ७५भक्लिड इहेबांब उग्र उांशद्र আর্জি উঠাইরা লইল । ব্রাহ্মণও নিষ্কৃতি পাইয়া গেল । ( ইংরাজি তইতে আসিতেন । শুনা যায়, সেই সময়ে—সেই ঘোর রাত্রে অন্ধকার বনের মধ্যে জনপ্রাণী সঙ্গে না লইয়া একেল কেহ যদি মন্দির সম্মুখে উপস্থিত হয়, এবং মৰ্ম্মর সোপানে নতজানু হষ্টয়া দেবতার আরাধনা করে ও দেবতার উদ্দেশে বুক চিরিয়া রক্ত দেয় তাহা হইলে দেবতার কাছে সে যে প্রার্থনাই জানায় তাহা গ্রাহ হয় ! পুরুষ ও রমণী বহুবার এই মন্দিরে গিয়াছে, বহুবার দেবতার কাছে দুজনে দুজনার মঙ্গল প্রার্থনা করিয়াছে কিন্তু দুষ্ট জনের মধ্যে কেহ কখন এক সেখানে যায় ন। এক পূর্ণিমার রাত্রে পুরুষটিকে সঙ্গে না লইয়। রমণী একেল মন্দির উদ্দেশে ঘরের বাহির হইয়া গেল ! বনের বাহির তখন জ্যোৎস্নার প্লাবনে ভাসিয়া যাইতেছে, জলস্থল আকাশ, শুভ্রতায় ভরিয়া গিয়াছে ;– আকাশে নীলিমা নাই, সমুদ্রে ও নীলিমা নাই ! সব আলোময়, কেবল বনের ভিতর ঘোর অন্ধকার—সেখানে জোৎস্না নাই ! আলো नांझे ! ● রমণী সেই ঘোর অন্ধকারের মধ্যে পথ চলিয়া মন্দির-সোপানে আসিয়া বসিল । ভক্তিভরে দেবতার নাম জপ করিতে লাগিল,