পাতা:ভারতী বৈশাখ-আশ্বিন ১৩১৭.djvu/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዋb” দুজনে নীরদের বসিবার ঘরে প্রবেশ করিল। সে ঘরে সে সোফা কেদারা কল্পখানা আর নাই তাহার পরিবর্তে সতরঞ্চ ও ছাপওয়ালা জাজিম পীত তত্তেণপোষ বিরাজ করিতেছে। লিখিবার ছোট টেবিলট একধারে দঁাড় করানো রহিয়াছে তাহার উপর পিতলের ফুলদানীটায় কতোদিনকার ফুলগুচ্ছটি গুথাইয়া গিয়াছে, বদলানো হয় নাই, টেবিল হারমোনিয়মটার কোনরকম সাড়াশব্দই পাওয়া গেল না। যোগেন্দ্র চারিদিকে চাহিয়া দেখিয়া অবাকৃ হইয়া বন্ধর মুখের দিকে চাহিল। সে রুদ্ধ জানলাটা খুলিতে খুলিতে আপনিই বলিল “সেগুলো নিলেম করে দিয়েছি” । “কারণ ? সেগুলো তে কই ভাঙ্গেনি ?” “কারণ, সেগুলো ‘আমার’ পক্ষে অনাবশ্বক”। “যোগেন্দ্র উত্তেজিত হইয়া উঠিল। *সেগুলো অনাবগুক আর যতো আবশু্যকীয় হলো তোমার এই জঘন্য তক্তাপোষ ?” “না এও খুব আবশ্বকীয় নয় তবে কি জানো এরা হলো পোয্যের সামিল ; তার হচ্চেন নিমন্ত্রিত। তাদের খাতির করতে করতে গরীবের প্রাণ অস্থির হয়ে ওঠে, এর একপাশে পড়ে থাকে মাত্র মেরামতের খরচ লাগায় না । আর কি জানো,—যে ছিল সেই থাক । নুতনকে আবার ভাস্কর পণ্ডিতের মতন লুটিয়ে দিবার জন্য ডেকে এনে কি হবে ? যোগেন্দ্রের তর্ক অনাবগুক হলেও শুনতে পারি বিশ্বনাথের তর্ক তাবলে সহ হবে না।” যোগেন্দ্র অনাবশ্বক তর্ক তুলিল না। নীরদ তাহাকে নিজের বক্তব্য বলিতে লাগিল । রামনাদে একদিন সহসা একজন সাধুর সহিত ভারতী । বৈশাখ, ১৩১৭ ऊांशंब्र गांक्रां९ शd । दब्रांदब्रहे उांशंद्र नाथू সন্ন্যাসীর প্রতি একটু মনের টান ছিল, কিন্তু ইদানীং বিদেশী চালে চলিতে চলিতে সেট। ক্রমেই কমিয়া আসিয়াছিল, তাই পরমানন্দ স্বামীর সহিত প্রথম যে কথাবাৰ্ত্ত আরম্ভ হয় তাঙ্গতে সে হিন্দু শাস্ত্রকে অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করিয়া প্রচারকগণের উপর ক্ষুদ্র তীব্র ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করে । তাহাতে সন্ন্যাসী স্মিতগম্ভীর মুখে অমৃত্তেজিত কণ্ঠে এমন কতোক গুলি কথা বলিলেন যে একমুহূর্তেই অবিশ্বাসীর মস্তক তাহার পদতলে লুষ্ঠিত হইয়া পড়িল । নীরদ তখন ঠিক প্রকৃতিস্ত ছিল না ! সে তখন বিশ্বসংসারের সমস্ত সহজ পথ ছাড়িয়া এমন কোন একটা রাস্ত খুজিয়া বেড়াইতেছিল যাহা ধরিয়া গেলে এথানকার বাতাসটুকু পর্য্যস্ত আলোকটুকু পর্য্যন্ত তাহার কাছে না পৌছিতে পারে। অতীত বর্তমানের সহিত ভবিষ্ণুংকে পৃথক করিয়া ফেলিবার জন্ত সে তখন তাহাদের কাণ্ড পর্যন্ত মূল পৰ্য্যন্ত কাটিয়া তুলিতে একখান তীক্ষ্ণ অস্ত্রের সন্ধান করিতেছিল, সঙ্গস এই সাক্ষাৎ তাহার নিকট ঈশ্বরের প্রেরণা বলিয়া বোধ লইল । সে নিজেকে একদিনেই সমর্পণ করিল। সে পথহারা পথ চাহে, তাহাব কৰ্ম্মবন্ধন ছিন্ন প্রায়, তাহার কৰ্ম্ম চাই । যোগেঞ্জ এই পর্য্যস্ত যথেষ্ট মনোযোগের সহিত শুনিয়া অসহিষ্ণুভাবে বাধা দিল “ভাই তিনি দয়া করে এই সহজ পথখানি দেখিয়ে দিলেন ! বড় দয়া—বেটা ভও !” নীবন গৰ্জিয়া উঠিল “চুপ্‌ কাকে কি বলতে আঞ্চে তা জানো । তার সমালোচনা তুমি করেন।” তেমন তীব্রভৃষ্টি যোগেন্দ্র সে চোখে পূ ে।