পাতা:ভারত পথিক - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

গেলে চলবে না। দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা সংগ্রাম করছেন, সামরিক অসামরিক, দু রকম শাসনভারের জন্যই তাঁদের প্রস্তুত থাকতে হবে। স্বাধীনতাকে কখনো ভাগ করা চলে না, স্বাধীনতার অর্থই হল বিদেশী শাসনের হাত থেকে সর্বাঙ্গীণ মুক্তি। মহাযুদ্ধে আমরা দেখেছি সামরিক শক্তি না থাকলে যে কোনো দেশের পক্ষেই স্বাধীনতা বজায় রাখা কঠিন।

অস‍ুখ থেকে সেরে উঠে আমি আবার আমার কাজকর্ম শ‍ুর‍ু করে দিলাম। আগের মতো বন্ধুদের সঙ্গেই বেশির ভাগ সময় কাটাতাম। কিন্তু ইতিমধ্যে ভিতরে ভিতরে আমার মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছিল। সভ্যসংখ্যা এবং কাজকর্মের দিক থেকে আমাদের দলের দ্রুত উন্নতি হচ্ছিল। দলের বিশিষ্ট সভ্য উদীয়মান একটি ডাক্তারকে (যুগলকিশোর আঢ্য) বিলেতে পাঠানো হল, যাতে বিলেত থেকে ফিরে এসে সে দলের এবং দেশের সত্যিকারের সেবা করতে পারে। আমাদের এই প্রচেষ্টা অবশ্য সফল হয়নি, কারণ ডাক্তাৱটি বিলেতে একটি ফরাসী মেয়েকে বিয়ে করে সেখানেই চিরকালের জন্য থেকে গিয়েছিলেন। যাই হোক, যার যথাসাধ্য ডাক্তারকে বিলেতে পাঠাবার জন্য দিল, আমিও আমার স্কলারশিপের খানিকটা দিলাম। দলের আর একজনও ইণ্ডিয়ান মেডিক্যাল সার্ভিস-এ নাম লেখাল। আমরা সকলেই ভাবলাম যুদ্ধে গেলে ওর অভিজ্ঞতা তো বাড়বেই, উপরন্ত‌ু কিছু টাকা হাতে আসবে।

দুটো বছর নানারকম উত্তেজনার মধ্য দিয়েই কেটে গেল, পড়াশোনা মাথায় উঠল। ১৯১৫ সালে ইণ্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় যদিও আমি প্রথম বিভাগেই পাশ কৱাম আমার স্থান ছিল একেবারে নিচের

৯৫