আমাদের অধ্যক্ষকে অনির্দিষ্টকালের জন্য 'সাস্পেণ্ড' করা হয়েছে। এদিকে অধ্যক্ষমহাশয় ক্ষমতা হস্তান্তরিত হবার আগেই তাঁর যথাকর্তব্য সেরে ফেললেন। যেসব ছেলে তাঁর কুনজরে ছিল সবাইকে তিনি ডেকে পাঠালেন। এদের মধ্যে আমিও ছিলাম। দাঁতমুখ খিঁচিয়ে আমাকে তিনি বললেন—“বোস, তোমার মতো বেয়াড়া ছেলে কলেজে আর নেই, তোমাকে আমি সাসপেণ্ড করলাম।” কথাগুলো আজও আমার স্পষ্ট মনে আছে। জবাবে আমি শুধু বলেছিলাম, “ধন্যবাদ!” তারপর বাড়ি চলে এলাম। শঙ্করাচার্যের মায়াবাদের ঘোর মন থেকে কেটে গেল।
এর কয়েকদিন পরেই কলেজের পরিচালক-সমিতির একটি অধিবেশনে অধ্যক্ষ মহাশয়ের নির্দেশকে সমর্থন জানানো হল। ফলে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে আমি বিতাড়িত হলাম। অগত্যা, অন্য কোনো কলেজে ভরতি হবার অধিকার দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করলাম। কিন্তু আমার আবেদন অগ্রাহ্য হল। দেখা গেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই আমি বিতাড়িত হয়েছি।
এ অবস্থায় কর্তব্য ঠিক করে উঠতে পারছিলাম না। কয়েকজন রাজনীতিক বললেন, তদন্ত-কমিটির হাতে যখন সমস্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তখন অধ্যক্ষের নির্দেশ সম্পূর্ণ বেআইনী। তদন্ত-কমিটি কী রায় দেয় তার জন্য উদগ্রীব হয়ে রইলাম।
কমিটির সভাপতি ছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভাইস্ চ্যান্সেলর স্যর আশুতোষ মুখার্জি। কাজেই, সুবিচার হবে বলেই আশা হল। ছাত্রপ্রতিনিধিদের মধ্যে আমিও ছিলাম। আমাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করা হল—মিঃ ওটেনকে মারা উচিত হয়েছিল বলে আমি