অষ্টম পরিচ্ছেদ
কলেজ থেকে বহিস্কৃত হয়ে যখন কটকে এসে পৌঁছলাম তখন ১৯১৬ সালের মার্চ মাস শেষ হতে চলেছে। সৌভাগ্যের বিষয় বহিষ্কারের কালিমাটা ছাত্রমহলে দেখা দিয়েছিল জয়টিকারূপেই। পরিবারের মধ্যেও সম্পর্কের কোনো হেরফের হল না। আশ্চর্যের বিষয় বাবা কখনো ডেকে জিগগেস করেননি যে কলেজে কী হয়েছিল, বা আমি তার মধ্যে কী করেছিলাম। কলকাতায় আমার বড় দাদারাও ধরে নিয়েছিলেন যে ঐ অবস্থায় আমার যা করণীয় তা আমি ঠিকই করেছি এবং আমার প্রতি তাদের সহানুভূতিতেও তাই ঘাটতি পড়েনি। বাবা ও মায়ের নীরবতার মধ্য দিয়েও ধরা পড়ত ছাত্রদের মুখপাত্রের অনিবার্য পরিণতির প্রতি গোপন শ্রদ্ধা। যাদের সঙ্গে দিনরাত্রি কাটাতে হয় তাদের সহানুভূতির অধিকারী হয়ে ভাবনা ঘুচল। কলেজ থেকে বহিস্কৃত হবার পরও আমার প্রতি তাঁদের ভালোবাসা অক্ষুন্ন রইল।
পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক তাই ব্যাহত না হয়ে বরং উন্নত হল। কিন্তু আমার দল সম্পর্কে সে কথা বলা চলে না। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির উত্তেজনার মধ্যে আমি সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় কাজ করেছিলাম, দলের সঙ্গে পরামর্শের অপেক্ষা রাখিনি। পরে জানতে,