পাতা:ভারত পথিক - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দেখি কয়েক টাকা কম আছে। ম্যানেজারকে বললাম বাকি টাকাটা কাল দিয়ে দেব, বইটা আমাকে দিন। উত্তর পেলাম যে তা সম্ভব নয়, পুরো দামটা একসঙ্গে আগে দিতে হবে, তারপর অন্য কথা। বইটা না পেয়ে শ‍ুধু যে ক্ষ‍ুন্ন হয়েছিলাম তা নয়, আমাকে এভাবে অবিশ্বাস করাতে মনে অত্যন্ত আঘাত লেগেছিল। কেম্ব‌্রিজে যে-কোনো দোকানে যাও, যা খুশি হকুয় কর, 'ফেল কড়ি মাখ তেলে'র কোনো বালাই নেই। আরো একটি জিনিস আমার মনকে টেনেছিল—সে হচ্ছে ইউনিয়ন সোসাইটির সভায় বিতর্ক। তার হওয়ায় যেন কিসের জ্বালা ছিল। যা খুশি বলার, যাকে খুশি আক্রমণ করার অবাধ স্বাধীনতা। অনেক সময় পার্লামেণ্টের প্রধান সভ্যেরা, এমন কি মন্ত্রীমহাশয়রাও, ছাত্রদের সঙ্গে সমান হয়ে বিতর্কে নামতেন। বলা বাহুল্য তাঁদের কপালে প্রায়ই জুটত কঠোর সমালোচনা, আক্রমণ, লাঞ্ছনা। হোরেশিও বটমূলে এম. পি. একবার এক বিতর্কে যোগ দিয়েছিলেন। বিপক্ষের বক্তা তাঁকে এই বলে সাবধান করেছিলেন: “দেয়ার আর মোর থিংস্ ইন হেভেন আল্ড আর্থ, হোরেশিও, দ্যান ইওর জন বুল ড্রিম্স অফ।” প্রখর কৌতুকে এক একদিন বিতর্কসভা মাতোয়ারা হয়ে উঠত। আয়র্লণ্ড সম্পর্কে এক বিতর্কের সময় একদিন এক আইরিশ-সমর্থক সরকারের স্বরূপ দেখাতে গিয়ে বললেন: “ফোরসেস অফ ল অ্যাণ্ড অর্ডার অন ওয়ান সাইড অ্যাণ্ড বনার ল অ্যাণ্ড ডিসঅর্ডার অন দি আদার।”

বিতর্কসভার অতিথিদের মধ্যে পার্লামেণ্টের বিখ্যাত সদস্যেরা ছাড়া ভাবী রাজনৈতিকেরাও থাকতেন। যেমন ডক্টর হিউ ডালটনকে প্রায় এসর সভায় দেখা যেত। তখন তিনি পার্লামেণ্টের সদস্য হননি। ভবিষ্যতে হবার আশায় কোনো কন‍্স্টিটুয়েন্সির সেবাযত্নে নিযুক্ত

১২৭