পাতা:ভারত পথিক - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পারে যে ইস্তফা দেওয়া ভিন্ন আমার গত্যন্তর থাকিবে না। আগামী পাঁচ দশ বৎসরের মধ্যে যদি এরূপ পরিস্থিতির উদ্ভব হয় তাহা হইলে জীবনে নতুন করিয়া পথ করিয়া লইবার উপায় থাকিবে না। সেক্ষেত্রে আজ আমার সম্মুখে নানা পথ উন্মুক্ত রহিয়াছে।

“সন্দেহবাদী লোকে বলিবে যে চাকুরির প্রশস্ত কোলে একবার ঠাঁই করিয়া লইবার পর আমার সমস্ত তেজ উবিয়া যাইবে। কিন্তু এই ক্ষয়কারী প্রভাব আমার উপর কিছুতেই পড়িতে দিব না এ বিষয়ে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমি বিবাহ করিব না, সুতরাং যখন যাহা সত্য বুঝিব তাহাকে পালন করার পথে সাংসারিক বিবেচনার অধীন হইয়া থাকিতে হইবে না।

“আমার মনের গঠন যের‍ূপ তাহাতে আমার সত্যই সন্দেহ হয় যে সিভিল সার্ভিসের পক্ষে আমার যোগ্যতা আছে কি না। বরং আমার ধারণা, যেটুকু ক্ষমতা আমার আছে তাহা অন্যভাবে আমার নিজের ও আমার দেশের উপকারে লাগাইতে পারিব।

“এ বিষয়ে আপনার মতামত জানিতে পারিলে আনন্দিত হইব। পিতৃদেবকে এ বিষয়ে কিছু লিখি নাই—কেন তাহা ভাবিয়া পাইতেছি না। তাঁহার মত জানিতে পারিলে সুবিধা হইত।”


উপরোক্ত চিঠিতে দেখা যাচ্ছে সংগ্রাম শুরু হয়েছে কিন্ত‌ু সমাধানের কোনো নিশানা নেই। ২৬শে জানুয়ারি ১৯২১ সালে আমি আবার এ প্রসঙ্গে মনোনিবেশ করলাম, লিখলাম:


“...আপনি বলতে পারেন যে এই কুৎসিত ব্যবস্থাকে পরিহার না করিয়া ইহার ভিতরে প্রবেশ করিয়া শেষ পর্যন্ত ইহার সহিত সংগ্রাম

১৩৮