পাতা:ভারত পথিক - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অভিযোগ করি নাই, সে কথা মনে করিয়া আজো গর্ব অনুভব করিতেছি। সেই স্মৃতির কথা ভাবিয়া মনে বল পাইতেছি, আমার এই বিশ্বাস আরো দঢ় হইতেছে যে আত্মত্যাগের কোনো দাবিতেই আমি পিছপা হইব না। পাঁচ বৎসর পূর্বে আপনি মেচ্ছায় এবং মহৎভাবে আমাকে যে সমর্থন জানাইয়াছিলেন আজও তাহা মিলিবে এ আশা কী করিতে পারি না?

“এবার পিতৃদেবকেও তাঁহার সম্মতিভিক্ষা করিয়া পৃথকভাবে লিখিলাম। আশা করি আপনি যদি আমার মত গ্রহণ করেন তবে পিতৃদেবকেও তাহাতে সম্মত করাইতে চেষ্টা করিবেন। আমার স্থির বিশ্বাস এ বিষয়ে আপনার মতের বিশেষ মূল্য আছে।”


এই চিঠিতে দেখা যায় আমি সিদ্ধান্তের দিকে অগ্রসর, কিন্তু এখনো বাড়ির নিদের্শের প্রত্যাশী।

এই বিষয়ে পরবর্তী পত্র লিখি ১৬ই ফেব্র‌ুয়ারি, ১৯২১। তাতে লিখেছিলাম:


“...আমার 'বিস্ফোরক' পত্র এতদিনে বোধ করি পাইয়া থাকিবেন। ঐ পত্রে আমার যে কার্যক্রমের উল্লেখ করিয়াছি পরবর্তী চিন্তার দ্বারা তাহাই দৃঢ়তর হইয়াছে।...যদি এই বয়সে চিত্তরঞ্জন সংসারের সবকিছু ছাড়িয়া জীবনের অনিশ্চয়তার ভূমিতে আসিয়া দাঁড়াইতে পারেন তবে আমার সাংসারিক সমস্যাবিহীন তরুণ জীবনে এ ক্ষমতা আরো অধিক। চাকরি ছাড়িলেও আমার কাজের বিন্দুমাত্র অভাব ঘটিবে না। শিক্ষকতা, সমাজ-সেবা, সমবায় প্রতিষ্ঠানাদি, সাংবাদিকতা, সম সংগঠন, ইত্যাদি বহু কাজ রহিয়াছে যাহাতে সহস্র সহস্র কর্মঠ

১৪০