পাতা:ভারত পথিক - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তরুণকে ব্যাপত রাখিতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে আমি বর্তমানে শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতার দিকেই আকৃষ্ট হইতেছি। ন্যাশনাল কলেজ ও নতন সংবাদপত্র 'স্বরাজ' লইয়াই আমি এখন কিছুদিন কাটাইতে পারিব। আত্মত্যাগের আদর্শ লইয়াই জীবন আরম্ভ করিতে চাই, আমার কল্পনায় ও প্রবণতায় অনাড়ম্বর জীবন ও উচ্চ চিন্তারই আকর্ষণ অধিক। তাহা ভিন্ন বিদেশী শাসকের অধীনে চাকুরি করা অতি ঘৃণ্য কাজ বলিয়া বোধ করি। অরবিন্দ ঘোষের পথই আমার নিকট মহৎ, নিঃস্বার্থ অনুপ্রেরণার পথ, যদিও সে পথ রমেশ দত্তের পথ অপেক্ষা কণ্টকাকীর্ণ।

“দারিদ্র্য ও সেবার ব্রত গ্রহণ করার অধিকার ভিক্ষা করিয়া পিতৃদেব ও মাতাঠাকুরাণীর নিকট পত্র দিয়াছি। এই পথে ভবিষ্যতে লাঞ্ছনার ভয় আছে এই চিন্তায় তাঁহারা হয়ত আকুল হইবেন। আমি নিজে দুঃখক্লেশের ভয় করি না, সেদিন আসিলে দুঃখ হইতে সরিয়া আসিবার চেষ্টা না করিয়া অগ্রসর হইয়া তাহাকে গ্রহণ করিব।”


২৩শে ফেব্রুয়ারি ১৯২১-এর চিঠিও কৌতুহলজনক। তার মধ্যে বলেছি।


“যেদিন আই. সি. এস পরীক্ষার ফল বাহির হইয়াছে সেদিন হইতে আমার মনে এই প্রশ্ন আন্দোলিত হইতেছে; যদি চাকুরিতে থাকি তাহাতে দেশের অধিক উপকারে আসিব, না চাকুরি ছাড়াটাই দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক হইবে। এই প্রশ্নের উত্তর মিলিয়ছে। এ বিষয়ে আমি স্থিরনিশ্চয় হইয়াছি জনসাধারণের মধ্যে থাকিই আমি দেশের অধিক মঙ্গলসাধন করিতে পারিব, আমলাতন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করিয়া

১৪১