পাতা:ভারত পথিক - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রতিজ্ঞাপত্রে সহি করা আমার পক্ষে অতি কঠিন কাজ হইবে। দ্বিতীয় বর্তমানের জন্য যদি চাকুরিতে প্রবেশ করি তাহা হইলে প্রথা অনুসারে আমি ডিসেম্বর বা জানুয়ারির পূর্বে দেশে ফিরিতে পারিব না। এখন যদি পদত্যাগ করি তবে জুলাই মাসেই ফিরিতে পারিব। ছয় মাসের মধ্যে বহু পরিবর্তন ঘটিবে। ঠিক মুহূর্তে যথেষ্ট সাড়া না পাওয়ার ফলে আন্দোলন দমিয়া যাইতে পারে, দেরিতে সাড়া মিলিলে তাহা হয়ত ফলপ্রসূ হইবে না। আমার বিশ্বাস আরেকটি এজাতীয় আন্দোলন আরম্ভ করিতে বহু বৎসর লাগিয়া যাইবে। সুতরাং বর্তমান আন্দোলনের ঢেউকে যতদূর সম্ভব কাজে লাগানোর চেষ্টা করাই সমীচীন। যদি আমাকে পদত্যাগ করিতে হয় তবে তাহা দুদিন পরে বা এক বছর পরে করিলেও আমার বা অন্য কাহারো ক্ষতিবৃদ্ধি নাই, কিন্তু দেরি করিলে আন্দোলনের পক্ষে হয়ত ক্ষতি হইতে পারে। আমি জানি যে আন্দোলনকে সাহায্য করিবার ক্ষমতা আমার হাতে অল্পই, তবু যদি নিজের কর্তব্য পালনের সন্তোষ লাভ করিতে পারি তাহাও এক বৃহৎ লাভ বলিতে হইবে।...যদি কোনো কারণে পদত্যাগ সম্বন্ধে মত পরিবর্তন করি তবে পিতৃদেবের নিকট তৎক্ষণাৎ তার পাঠাইব, ভাহাতে তাঁহার আশঙ্কা ঘুচিবে।”


কেম্ব‌্রিজ থেকে ২০শে এপ্রিলে লিখিত চিঠিতে বলেছিলাম যে ২২শে এপ্রিল পদত্যাগপত্র দাখিল করব।

২৮শে এপ্রিল তারিখের চিঠিতে লিখেছিলাম:


“আমার পদত্যাগ সম্বন্ধে ফিজউইলিয়াম হলের রেডেওয়ে সাহেবের

১০(৪৪)
১৪৫