ইস্তফা দেন এবং তেরো বছর পরে ১৯৩০ সালে সরকারের দমননীতির প্রতিবাদে রায়বাহাদুর খেতাব বর্জন করেন।
মিউনিসিপ্যালিটি এবং ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড ছাড়াও ভিক্টোরিয়া স্কুল, কটক য়ুনিয়ন ক্লাব ইত্যাদি বহু শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। দানে তিনি ছিলেন মুক্তহস্ত। দুঃস্থ ছাত্ররা সর্বদাই তার কাছে সাহায্যের জন্য আসত। তাঁর দান শুধু যে উড়িষ্যাতেই নিবদ্ধ ছিল তা নয়, পৈতৃক গ্রামের কথা তিনি ভোলেননি—সেখানে তাঁর পিতামাতার নামে একটি দাতব্য চিকিৎসালয় ও একটি গ্রন্থাগার স্থাপন করেছিলেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বাৎসরিক অধিবেশনগুলিতে তিনি নিয়মিতভাবে যোগ দিতেন। তাছাড়া স্বদেশী জিনিস ব্যবহারের তিনি বিশেষ পক্ষপাতী ছিলেন। অবশ্য তিনি কখনো প্রকাশ্যভাবে রাজনীতিতে যোগ দেননি। ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে তিনি কংগ্রেসের গঠনমূলক কাজে—খাদি ও স্বদেশী শিক্ষার প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন। বরাবরই তিনি অত্যন্ত ধর্মভীরু ছিলেন এবং দু’বার দীক্ষা নিয়েছিলেন। তাঁর প্রথম গুরু ছিলেন শাক্ত এবং দ্বিতীয় গুরু বৈষ্ণব। বহুদিন পর্যন্ত তিনি স্থানীয় থিয়োসফিক্যাল লজ্-এর সভাপতি ছিলেন। দরিদ্র নিঃস্বদের সম্বন্ধে তাঁর মনে গভীর সমবেদনা ছিল। মৃত্যুর আগে তিনি বৃদ্ধ ভৃত্যদের ও অন্যান্য আশ্রিতদের সম্বন্ধে যথাযোগ্য সংস্থান করে গিয়েছিলেন।
প্রথম পরিচ্ছেদেই বলেছি আমার মা ছিলেন হাটখোলার দত্ত পরিবার মেয়ে। হাটখোলা উত্তর কলকাতার একটি অংশ। বৃটিশ শাসনের প্রথম যুগে ঐশ্বর্যে এবং নতুন রাজনৈতিক অবস্থার সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে চলার গুণে যে ক’টি পরিবার বিশেষ প্রাধান্য,