পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোম্বাই। সমাসীন ছিলেন। মাহিমের ক্রমোন্নতির সঙ্গে সঙ্গেই এলিফেণ্টার গৌরব অন্তৰ্হিত হয়। এই ভীমদেব মহারাজা কর্তৃকই বােম্বাইর উন্নতির সূত্রপাত হয়, তিনি যখন এ স্থানে রাজত্ব করিতেন তখন এই স্থান বাবলা গাছে পরিপূর্ণ এবং জেলেদের কুটীরে পরিশোভিত ছিল। মহারাজা ভীমদেব বিশেষ উৎসাহী ও কৰ্ম্মঠ নরপতি ছিলেন, তিনি এ স্থানের লোককে ফল-বৃক্ষ রোপণে এবং নারিকেলের চাষ করিতে উৎসাহ প্ৰদান করেন। হঁহার চেষ্টা ও যত্নে বহু ব্ৰাহ্মণ ও বণিকগণ এখানে বাসগৃহ নিৰ্ম্মাণ করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন, তিনি বোম্বাইতে দেব-মন্দির ও ধৰ্ম্মশালা ইত্যাদি নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। আজিও বোম্বাইবাসী নরনারীগণ এই মহাত্মার নাম গৌরবের সহিত উচ্চারণ করিয়া খাকে । মুসলমান রাজত্বের ইতিহাসে মুসলমান রাজতে বোম্বাইর নাম দেখিতে পাওয়া যায় না। ইহা হইতে অনুমান cवांक्षाझे । হয় যে সে সময়ে ইহা নগণ্য ক্ষুদ্র বন্দর মাত্র ছিল। বোম্বাই-দ্বীপ ১৫৩ খ্ৰীষ্টাব্দে কিংবা তাহার কিঞ্চিৎ পূর্বে পর্তুগীজদের হাতে পতিত হয়। পর্তুগীজদিগের সময় হইতেই এস্থানের ইতিহাস ভাল করিয়া অবগত হইতে পারা যায়। সমুদ্র পথে ভারতগমনের পথ পর্তুগীজদিগের দ্বারা আবিস্কৃত হইলে পর ১৪৯৮ খ্ৰীষ্টাব্দে নাবিক শ্রেষ্ঠ ভ্যাস্কো-ডি-গামা সৰ্ব্ব প্ৰথমে ভারতের কেলিকাট নগরে অবতরণ করেন । , তখন তাহাদের ভারত সমুদ্রে বাণিজ্যাধিকার হস্তগত করিবার জন্য সমুদ্রতীরবর্তী রাজাদের সহিত বহু যুদ্ধ বিগ্রহে প্ৰবৃত্ত হইতে হইয়াছিল। পর্তুগীজদের প্রথমে মালাকারের তীরবর্তী প্রদেশ সমূহের প্রতিই দৃষ্টি নিবন্ধ ছিল, কালিকট, কেনানোর, গোয়া প্ৰভৃতি স্থানেই সর্বপ্ৰথমে তাহাদের উপনিবেশ স্থাপিত হয় । ইহাদের সময়ে বোম্বাই বন্দর, গুজরাট দেশীয় মুসলমান রাজাদের অধিকার ভুক্ত ছিল, পর্তুগীজরা ঐ বন্দর উক্ত নৃপতিদের নিকট হইতে বল পূর্বক কাড়িয়া লয় এবং এই दौ°रुक्ति শতাধিক বৎসর তাহাদিগের শাসনাধীনে থাকে। ] পর্তুগীজরা অত্যন্ত গোড়া খ্ৰীষ্টান ছিল, কাজেই ইহাদের কর্তৃক এলিফেণ্টা ও কানেরী। প্রভৃতি দ্বীপস্থা গুহাবলীর প্রস্তর, খোদিত মূৰ্ত্তি সমূহ বহু পরিমাণে নষ্ট হয়। ধৰ্ম্মের গোঁড়ামির জন্য ভারতের কত সুন্দর সুন্দর মন্দির ও মঠ, কত স্থপতি aða