পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । এবং মৃত্তিক হইতে টাওয়ারের উচ্চতা ১৭৫ ফিট হইবে । প্রথম ও তৃতীয় তলে হাইকোর্টের আফিসগুলি, দ্বিতীয়তলে অরিজিনাল সাইড ও আপিলেট সাইড, মধ্যভাগে ফৌজদারী কোটি । ১৮৭৯ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৭শে জানুয়ারী এই হাইকোর্ট সর্বপ্ৰথমে খোলা হয়। জে, এ, ফুলার, R, E. সাহেবের নক্সানুসারে ১০০,০০০ পাউণ্ড মুদ্রাব্যয়ে এই সুগঠিত ও সুদৃশ্য অট্টালিকাটা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। ইউনিভারসিটি লাইব্রেরী ও ক্লক টাওয়ারের নিৰ্ম্মাণ কৌশল অপূৰ্ণ কল্পনা ও শিল্পের চরমোৎকর্ষ বলিলে কোনও রূপ অতিশয়োক্তি হয় না । ইহার ঘটিকাস্তম্ভ আকাশ ভেদ করিয়া উঠিয়াছে । ইহা SS S BDD uBDB DBDB DDD DDDS S DBDD DBuBuzSDBBB BBB কুতবমিনারও উচ্চতায় ইহা অপেক্ষা ৮ ফিট কম। প্ৰসিদ্ধ দাতা খ্যাত নাম প্ৰেমচান্দ রায় চাদের মাতার স্মরণার্থ নিৰ্ম্মিত রাজাবাই টাউয়ার ও ইহার সহিত সংশ্লিষ্ট । সমুদ্রের তটদেশে অবস্থিত বলিয়া ইহার সৌন্দৰ্য্য ও বিশালত্ব আরও গৌরবময় বলিয়া অনুভূত হয়। এই স্তম্ভটী চারিতল বিশিষ্ট। ইহার মধ্য দিয়া ঘুরাইয়। ঘুরাইয়া যে সিঁড়ি নিৰ্ম্মিত হইয়াছে তাহা দ্বারা উপরে উঠিতে হয়। চতুর্থ তলে বৃহৎ ঘড়িখানা, এই জন্যই ইহাকে ক্লক টাউয়ার বলিয়া থাকে। এই ঘড়িটির বৃহত্ত্বের কথা লিখিয়া প্ৰকাশ করা সম্ভবপর নহে। এই ঘড়ি প্ৰতি পনের মিনিট অন্তর আপনাআপনি সুমধুর তানলয়ের সহিত বাজিয়া ওঠে। এই স্তম্ভের উপর হইতে চতুর্দিক দৃষ্টি করিলে নৈসর্গের প্রাণারাম সৌন্দৰ্য্যে নয়ন-মন মুগ্ধ হয়। বোম্বাই বন্দরের সমগ্র সৌন্দৰ্য্য এক মুহুর্তে উপলব্ধি করিতে পারা যায়। পশ্চিম দিকে আকাশের নীলিমায়ও সমুদ্রের নীলিমার অনন্ত সৌন্দৰ্য্য-কত জাহাজ কত নৌকা ও আলোক স্তম্ভ সমূহ বিরাজমান,-আর একদিকে হরিৎ-শ্যামল তরুকুঞ্জের মধ্যস্থ উপবন, কারখানা, সুন্দর সুন্দর সৌধমালা ও বালুকেশ্বর শৈলবর গৌরবের সহিত মাথা তুলিয়া দাড়াইয়া আপনাকে প্ৰকাশ করিতেছে! এপোলো বন্দর, ত্ৰিতল, পঞ্চতল সৌধ সমূহ, রাজপথ সমুদয় এ স্থান হইতে একটা সঙ্গীতবৎ আলেখ্যের ন্যায় প্রতিয়মান হয়। এই স্তস্ত ও ইউনিভাসিটি লাইব্রেরী প্ৰসিদ্ধ দাতা প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ চতুর্লক্ষ মুদ্রাব্যয়ে . ԳՀ8