পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । যাইতেছে কি সুন্দর ! কে বলে জড় পদার্থের প্রাণ নাই! আই না প্ৰতি তরঙ্গ-উচ্ছাসে শত ভাষা ব্যক্ত হইয়া উঠিতেছে। অই না ঢেউগুলো কি যেন প্ৰাণের কথা প্ৰাণের ব্যথা কহিয়া গেল ! কবি সত্যই গাহিয়াছেন ——“একি সুগম্ভীর খেলা অম্বুনিধি ছিল করি দেখাইয়া মিথ্যা অবহেলা ধীরি ধীরি পা টিপিয়া পিছু হ’টি চলি যাও দূরে, যেন ছেড়ে যেতে চাও—আবার আনন্দপূর্ণ সুরে উল্লসি ফিরিয়া আসি কল্লোলে কঁপিয়া পড় বুকে, রাশি রাশি শুভ্ৰ হাস্যে, অশ্রািজলে সুেহাগৰ্ব্ব সুখে আৰ্দ করি দিয়ে যাও ধরিত্রীরা নিৰ্ম্মল ললাট আশীৰ্বাদে ।” এ স্থান হইতেই ইউরোপ যাত্ৰিগণ অর্ণব-যানে আরোহণ, অবতরণ করেন। বােম্বাই নগরীর মত মনােরম নগরী সত্য সত্যই ভারতে নাই ; তুমি যাহা চাও তাঁহাই পাইবে । বিশ্ব-বিধাতাৰ। সার সৃষ্টি, পর্বত, সমুদ্র, দ্বীপ। এখানে একত্রিত। যদি বোম্বাই দ্বীপ ও বন্দরের অপূর্ব সৌন্দৰ্য্য পূর্ণরূপে উপলব্ধি করিতে চাও, তবে একবার সমুদ্র তীরবত্তী রাস্তা দিয়া অগ্রসর হও এবং মালাবার গিরি শ্রেণীর সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণ করা। আহা ! কি সুন্দর, কি সুন্দর সৌন্দৰ্য্য। শতদল পূর্ণ বিকশিত। ভাষায় কি এমন কথা আছে, হৃদয়ে কি এমন ভাব আছে, লেখনীর কি এমন শক্তি আছে যে সে চিত্ৰ পাঠকবর্গের নিকট প্ৰকাশ করিতে পারে ? বাস্তবিকই সৌন্দৰ্য্য। বুঝিবার বুঝাইবার নহে, ভাবিবার প্রকাশ করিবার নহে। এজন্যই বুঝি বাইরণ লিখিয়াছিলেন । To me High mountains are a feeling.' অই দেখ সমুদ্রের চঞ্চল বারিরাশি কেমন সুন্দর নৃত্য করিতেছে, ভূধরের শ্যামল অঙ্গে মোহিনী মায়ার মোহন যাদুবলে হাসিয়া হাসিয়া ফুল দুলিতেছে, কত তরু, কত লতা কে তাহদের খোজ নেয় ! অই না মাথার উপর দিয়া। পাখীটা গাহিয়া গেল, সে কি সৌন্দৰ্য্যের একটা অভিব্যক্তি তোমার হৃদয়ে। তাহার আকুল কণ্ঠের মধুর ঝঙ্কারের সহিত জাগাইয়া দিল না ! বন্দরের q9o