পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"* ** **faimas বিশেষত্ব-তদ্রুপ আবার প্রত্যেক বিষয়েই ইহাদের শ্রেষ্ঠত্ব। জাতিয় একতা ও ঘনিষ্ঠ ভ্রাতৃবন্ধনের নিমিত্তই পার্সাঁদের এত जश्रखी ठकृडि হইয়াছে। সার্বজনিক কোনও কল্যাণের নিমিও অর্থদানে ইহঁরা মুক্ত হস্ত। এমন ধনী পাসী অতি বিরল, যিনি কোনও সৎকাৰ্য্যে छुशे व्लक ङिन्। লক্ষ টাকা দান করেন নাই । পুস্তকালয়, বিদ্যালয়, ধৰ্ম্মশালা, হাসপাতাল প্রভৃতি ইহাদের দ্বারা বহু স্থাপিত হইয়াছে। খুরসেদজি আর্দেশির ধৰ্ম্মশালা, জামসিদজি ধৰ্ম্মশালা প্ৰভৃতি ইহার উত্তম পরিচায়ক । ভারত পৰ্য্যাটক মাত্রেই বোম্বাই নগরীতে আসিয়া ইহাদের উদ্যমশীলতার প্ৰতি আকৃষ্ট হইয়া পড়েন । পাসীরা নানাপ্রকার বিপ্লবের মধ্য দিয়াও নিজ জাতিয় স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পৰ্ব্ব ও করিতে সমর্থ হইয়াছেন । ইহারা সাধারণতঃ অগ্নির উপাসনা 峦山 করিলেও প্রকৃত ভাবে একেশ্বরবাদী। অগ্নি ও नूगा ঈশ্বরের বিশেষ মহিমা জ্ঞাপক বলিয়া উহারা এই দুই শ্রেষ্ঠ জড় পদার্থের প্রতি বিশেষ ভক্তি ও শ্রদ্ধা প্ৰদৰ্শন করিয়া থাকে। পাসীরা আপনাদিগকে জরথুস্ত্রের শিষ্য ও অনুচর বলিয়া পরিচয় দিয়া থাকেন। ইউরোপীয় পণ্ডিতগণের মতে এই জরথুস্ত্ৰ খ্ৰীষ্টাব্দের প্রায় সহস্ৰ বৎসর পূর্বে পৃথিবীতে দেহ ধারণ করিয়াছিলেন। জরটষ্ঠের উপদেশ সমূহ জেনদ বা প্রাচীন বৈদিক ছন্দে লিখিত। ইহার গ্রন্থ সকল নীতিগর্ভ উপদেশবলীতে পরিপূর্ণ। তাহার সারিতত্ত্ব তিনটি মাত্ৰ কথায় ব্যক্তি করা যাইতে পারে। যথা “হুমাতা ; হুখতা, হবরর্ষ্যা অর্থাৎ মনােবাক কাৰ্য্যে পবিত্ৰতা করিবে I* প্ৰভাতে ও সন্ধ্যায় “বােটানি-বে”র সমুদ্রতটে কৃতাঞ্জলি করে যখন ধাৰ্ম্মিক পাসীগণ স্বীয় যজ্ঞসূত্রের দুই প্রান্ত টানিয়া টঙ্কার ধ্বনিকরতঃ অস্তমান সূৰ্য্যের ও নবেদিত অরুণের দিকে চাহিয়া স্তবস্তুতি করিতে থাকে --তখন তাঁহাদের সুগৌর তনুর উজ্জ্বল বিভার সহিত সূৰ্য্যের কনকোজ্জ্বল কিরণের সৌন্দৰ্য্য প্রতিফলিত হইয়া উহাদের প্রশান্ত সুন্দর মুখমণ্ডলের শোভা পুর্ণ বিকশিত করিয়া তোলে। বিদুষী মহিলাদের সুন্দর স্বর ও ত্রর মাধুৰ্য্য, নবাগত পথিককে আকৃষ্ট করে,-পৰ্য্যটক দাঁড়াইয়া

  • বোম্বাই চিত্ৰ-শ্ৰীযুক্ত সত্যেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর।