পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোম্বাই । সাধা নহে, কিন্তু স্থূলকায় ব্যক্তিদের পক্ষেই একটু কষ্ট ভোগের কারণ হয় । । সেদিনই পুনরায় মুম্বাদেবীকে দর্শন করিবার জন্য র্তাহার মন্দিরের খাদী ও দিকে গমন করিলাম। একটা জলাশয়ের তীরে উক্ত ভুবনেশ্বর মহাদেব। দেবীর মন্দির অবস্থিত। সরোবরের চারিপাশে পাষাণ বিনিৰ্ম্মিত সোপানশ্রেণী, তটদেশে নানাবিধ দেব-মন্দির সৌ ৮ ফঁ্যে ও স্থাপিতা-কৌশলে বিশেষ মনোরম ৷ কেহ কেহ বলেন যে এই মুম্বাই দেবীর নাম হইতেই বোম্বাই নামের উৎপত্তি হইয়াছে। পর্তুগীজদিগের ভারতীগমনের পূর্দেও মুম্বাইদেবীর মন্দির ছিল বলিয়া সকলে স্বীকার করেন। এখনও সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতেরা ও বণিকেরা “শ্ৰীমুম্বই।” এইরূপ লিখিয়া থাকেন। এ মন্দিরে অত্যন্ত ভিড়-প্ৰায় সকল সময়েই জনসমাগম হয়, বিশেষ প্ৰাতে ও সন্ধ্যায়। মুম্বাদেবীর মন্দিরের অনতি দূরে ভুলেশ্বর মহাদেবের মন্দির, আমরা সে বিগ্ৰহ দৰ্শন করিবার জন্যও অগ্রসর হইলাম। একটী অতি বৃহৎ মন্দির মধ্যে ভুলেশ্বর মহাদেব বিরাজমান। এখানে সাধু সন্ন্যাসী ও গুজরাটী রমণীদের ভিড়ই অত্যন্ত বেশী। এই পল্লীতে বহু জৈন মন্দির আছে, প্রত্যেক মন্দিরেই পার্শ্বনাথের স্বর্ণ ও হীরকমণ্ডিত দীপ্ত মূৰ্ত্তি দেখিলাম। মহালক্ষীর মন্দির, দ্বারকানাথের মন্দির ও নাগাদেবীর মন্দিরও বিশেষ উল্লেখযোগ্য। স্বামী নারায়ণের মন্দিরটিও বেশ সুন্দর। আমরা সন্ধ্যার কিঞ্চিৎ পূর্বে ভিক্টোরিয়া উষ্ঠান দর্শন করিতে গমন করিলাম, তখন সূৰ্য্যের তেজ একটু কমিয়া আসিয়াছিল; छिrप्लेम्नि छैछन । সমুদ্রের শীতল বায়ু বহিয়া আসিতেছিল! এই উদ্যানের মধ্যে একটী যাদুঘরও আছে। বিশাল উষ্ঠান, হরিৎ-শ্যামল-তরুকুঞ্জে পরিশোভিত হইয়া বড়ই শোভাময় বােধ হইল, উষ্ঠানটি ৩৪ চৌত্রিশ একার জমি ব্যাপিয়া বিরাজিত। যাদুঘরের সুবৃহৎ প্রাসাদ সম্মুখে মহারাণী ভিক্টোরিয়ার মৰ্ম্মীর-প্ৰস্তরময়ী মূৰ্ত্তিটি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিল, বরদার ভূতপূর্ব গইকোবার খণ্ডেরাওয়ের প্রযত্নে এই মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। ঈহার নিৰ্ম্মাণে মোট ১৮০ ০০ ০ . টাকা ব্যয়িত হইয়াছে। কলিকাতার ዓ¢እ