পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । শমীপূজার রীতি ও প্রচলিত আছে। কথিত আছে যে পাণ্ডবেরা নাকি সেই দিবস শমীবৃক্ষের নীচে অস্ত্ৰ শস্ত্ৰাদি রক্ষা করিয়া পূজা করিয়াছিলেন। এতদ্ব্যতীত মুসলমানদের মহরম ও বিশেষ জাক জমকের সহিত হয়। মহরমের বিবরণ সকলেই জানেন, কাজেই সে বিষয়ের পুনরুল্লেখ নিম্প্রয়োজন। এ দেশের দেওয়ালীই প্ৰধান উৎসব, সে সময়ে এক গ্ৰীষ্টান ব্যতীত নগরের অন্যান্য সকল জাতিই এই উৎসবে যোগ দিয়া থাকে। হিন্দু, মুসলমান, পাসী সকলেই নিজ নিজ বাড়ীর সম্মুখ দীপাবলিতে সুসজ্জিত করেন—সে এক মনােহর দৃশ্য। গৃহে গৃহে দীপমালা শোভিত হইয়া অপূর্ব সৌন্দৰ্য্য ধারণ করে। তখন বোম্বাই নগরীকে আলোক-নগরী বলিলেও অত্যুক্তি হয় না । ত্ৰয়োদশী তিথি হইতে আরম্ভ হইয়া অমাবস্যা পৰ্য্যন্ত ইহা থাকে । আমাদের দেশে এই দীপান্বিত উপলক্ষে যেমন শ্মশান-বিহারিণী নৃমুণ্ডমালিনী কালীকাদেবীর পূজা হয়, এখানে সেরূপ হয় না । এখানে ধন ধান্যের অধিকারিণী মঙ্গল প্ৰদা কমলা এই উৎসবের অধিষ্ঠাত্রী দেবীরূপে পূজিতা হন । এই দিবস বাঙলা দেশের মহাজনগণের ন্যায় এ দেশের বণিকেরাও পুরাতন হিসাব পত্র পরিত্যাগ পূর্বক নবোৎসাহে নবীন হিসাব পত্ৰ লইয়া নববর্ষের কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হয়। ইহা ছাড়া নারেল পুণম, দোলযাত্ৰা, গণেশচতুর্থী, নাগপঞ্চমী, গোকুলাষ্টমী, রামনবমী প্ৰভৃতি বহু হিন্দু-উৎসব আছে সে সকলের বিস্তৃত বর্ণনা কে করিতে পারে ? দোলের সময় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে যে উন্মাদ নৰ্ত্তন ও উৎকট আমােদ হয়— এ নগরেও তাহার বাতাসের জোর নিতান্ত অল্প নহে। এদেশে ঠাকুর দেবতাদের মধ্যে গণেশের সম্মান অত্যন্ত বেশী। প্ৰায় প্রতি গ্রামেই গণপতিদেবের মন্দির আছে ও বিশেষ ঘটার সহিত র্তাহার পূজা ও বিসৰ্জন হইয়া থাকে। বীণাপানি এখানে ময়ূরাসনা—হনুমান দেবের সম্মানও এ অঞ্চলে কম নয়। আমোদ প্ৰমোদের মধ্যে এনগরেও পেশাদারী রঙ্গালয় সমূহ আছে। ভ্ৰাতৃদ্বিতীয়ার নাম এদেশে যমদ্বিতীয়া, সে দিবস ভাই ভগ্নীর গৃহে আহারাদির জন্য গমন করে, ভগ্নী বাঙ্গালাদেশের মতই ভ্ৰাতার কপালে তিলক দিয়া তাহাকে বরণ করিয়া থাকে ; ভ্ৰাতারও ইহার পরিবর্তে ভগ্নাকে ধন রত্নাদি দানে পরিতৃপ্ত করিতে হয়। বোম্বাইর লোক সংখ্যা ዓሳ 8