পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০৭

ख्iद्ध७-डवभsीं । গোরস্থান-রেসিডেন্সির নিকটস্থ গিৰ্জাঘরের (ক্ৰাইষ্টাচাৰ্চ) প্রাঙ্গণ মধ্যেই সিপাহী-বিদ্রোহ সময়ে নিহত বীর-বৃন্দের স্মৃতিস্তম্ভসমূহ বিরাজিত । সমাধিস্তম্ভগুলির মধ্যে জেনােরল হাবলক (General Hablock) মেজর আউটরাম ( Major Outram) 's (Setget নীল-এই বীরত্ৰয়ের সমাধিস্তম্ভ তিনটীই বিশেষ সুন্দর। তবে সমুদয় সমাধিস্তম্ভের মধ্যে আবার লরেন্স সাহেবেরটাই সর্বাপেক্ষা উচ্চ ও মনোরম। এখানে একটী শোকের ও স্তব্ধতার গাঢ় আবরণ ব্যাপৃত। স্মারকলিপিগুলির ভাষা বড়ই মৰ্ম্মস্পর্শী। শোকাৰ্ত্ত ব্যক্তিগণও সে সকল পাঠ করিলে হৃদয়ে সাস্তুনােলাভ করে। একটী শিশুর সমাধিস্তম্ভে লিখিত রহিয়াছে— "Weep not for me my parents dear, For I am not dead but sleeping here And await a while you shall be In paradise along with me. “কেঁদোনা আমার তরে জনক-জননী, আমি ত মরিনি-হেথা নিদ্ৰায় মগন কিছুদিন পরে দোহে ত্যজিয়ে অবনী— আসিবে স্বরগে যবে হইবে মিলন ।” আরও যে কত সুন্দর সুন্দর সান্তুনাসূচক স্মারকলিপি আছে তাহার সংখ্যা নাই—এই স্মারক কবিতাটা আমার নিকট বড়ই ভাল লাগিয়াছিল—তাই সযত্নে পকেটবুকে লিখিয়া রাখিয়াছিলাম। 'বেলিগার্ড' (Bailey Guard) দেখিলে হৃদয় শোকে আচ্ছন্ন হয়,--ইহাই প্ৰাচীন রেসিডেন্সি, ইহার সম্বন্ধে পূর্বেও দুই এক কথা লিখিয়াছি। আমাদের সদাশয় ও সুসভ গবর্ণমেণ্ট প্রাচীন স্মৃতি জীবিত রাখিবার জন্য বহু চেষ্টা করিয়াছেন এবং প্রায় হুবহু ভাবে রাখিয়া দিয়াছেন। গোলাগুলির চিহ্ন প্ৰভৃতি সব সুস্পষ্ট। যেস্থানে হেনরি লরেন্স আহত হইয়াছিলেন, যেখানে উনিশ বৎসরের যুবক সুশানা পামার গোলার আঘাতে প্ৰাণত্যাগ করেন, সে সকল স্থান খোদিত-লিপি দ্বারা দর্শকের সমক্ষে স্বম্পষ্টরূপে বুঝাইয় দেওয়া হইয়াছে। সিপাহী-বিদ্রোহের সময় বহু দেশীয় প্ৰভুভক্ত বীরও e8