পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७gलिएकोछे। মত দেহধারী শিল্পিগণের স্মৃতি কেন হৃদয়ে পীড়া দিতেছে! মনে হইতেছিল যেন তাহারা আমাদের অতি নিকট,-দূরে নহে। আমরা যখন বোম্বাই নগরী দর্শন করিয়াছিলাম, সে সময়ে সেখানে বাঙ্গালী নাই বলিলেও ক্ষতি ছিলনা, অতি অল্প দুই চারি জন মাত্ৰ छिव्ग, কিন্তু বৰ্ত্তমান সময়ে সে স্থানে বাঙ্গালীর সংখ্যা বহুপরিমাণে বৃদ্ধি পাইয়াছে। বোম্বাই নগরে প্লেগের আক্রমণের পর হইতে ইহার উন্নতির জন্য গভৰ্মেণ্ট বহু অর্থব্যয় করিতেছেন। বোম্বাই সহর ভারতের সর্বপ্রধান বন্দর, ইহা কতকগুলি দ্বীপ সমষ্টি লইয়া গঠিত। পূর্বে এই সমুদয় দ্বীপ ছোট ছোট খাল দ্বারা পরস্পরও সীমান্ত প্রদেশ হইতে পৃথক ছিল, কিন্তু এখন বহু খাল বুজাইয়া দিয়া পরস্পর সংযুক্ত করা হইয়াছে। এ সকল দ্বীপের সংখ্যা মোট দ্বাদশটি। বম্বের মত ঘনবসতি ভারতের আর কোন সহরেই নাই। এখানকার জল বায়ু নাতি শীতোষ্ণ, দারুণ গ্রীষ্মের মধ্যেও বেশী গরম এবং শীতের সময়ও খুব বেশী শীত হয়না, কয়েকখানি যুদ্ধজাহাজ বন্দর রক্ষা করিতেছে ; সম্মুখে তীর ভূমি হইতে প্ৰায় ১০০০ ইইতে ২০০০ ফুট উচ্চ পর্বতশ্রেণীর সৌন্দৰ্য্য অনির্বচনীয়। এই পর্বতের পাদ দেশেই দুৰ্ভেদ্য ব্রিটিশ দুর্গ অবস্থিত। ইংরেজ সৈন্যাধ্যক্ষ কাপ্তেন অবিংটন কর্তৃক ১৭৮০ খ্ৰীষ্টাব্দে এই দুর্গ অধিকৃত হইয়াছিল, তিনি পৰ্বততলস্থ এই দুর্গ অধিকার করিতে পারিয়াছিলেন বটে, কিন্তু পর্বতোপরিস্থ বৰ্ত্তমান ভগ্ন দুর্গটি অধিকার করিতে পারেন নাই। মান্দ্ৰাজ নগরের ন্যায় বোম্বাই নগরেও একজন গভর্ণর বাস করেন, ইহঁারও কাউন্সিল আছে। ইনিও বড়লাটের অধীন। যাহাঁদের সময় ও সুযোগ দুইই আছে, তাহদের প্রত্যেকেরই এই সৌধমালা পরিশোভিতা নীল-সিন্ধু-জল-চরণধৌত, ধনৈশ্বৰ্য্যে পরিপূর্ণা,- নানাজাতিয় লোকের পরিসেবিতা এই মহীয়সী নগরী দর্শন করা। কৰ্ত্তব্য। ইহাতে অর্থব্যয়ের যথার্থ সার্থকতা হইবে। জল বায়ু । an ዓዪኃd: