পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০৭৩

%ş sis ı অমরা সন্ধ্যার অব্যবহিত পরে সুরাট বন্দরে উপস্থিত হইয়া সেখানকার এক ধৰ্ম্মশালায় আশ্রয় গ্ৰহণ করিলাম। তপতী বা তান্তী নদীর দক্ষিণ তটে প্রায় নদীর মোহানার নিকট সুরাট অবস্থিত, এই নগরী সমুদ্র হইতে জলপথে সাত ক্রোশ এবং স্থল পথে পাঁচ ক্রোশ দূরে বিরাজিত। প্ৰাচীনকালে সুরাট উচ্চ প্ৰাচীর দ্বারা বেষ্টিত ছিল এখনও স্থানে স্থানে তাহার চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায়। তপতী নদী দক্ষিণ পূর্ব মুখে যাইতে যাইতে যে স্থানে বঁাকিয়া দক্ষিণ পশ্চিমে গিয়াছে সেই বঁাকের উপরই সুরাট অবস্থিত। পুরাকাল হইতেই এই নগরী বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত, খ্ৰীষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে পাসীগণ আসিয়া এস্থানে বাস করে এবং ১৬১২ খ্ৰীষ্টাব্দে ইংরেজ বুণিকেরা সর্বপ্রথমে এখানে কুঠি নিৰ্ম্মাণ করেন, পূর্বকালে অর্ণবযান নিৰ্ম্মিত হইত বলিয়াও ইহার খ্যাতি চতুর্দিকে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িয়াছিল। তপতী নদী স্থানীয় লোকের নিকট পবিত্রতার জন্য বিশেষ আদৃত। এই স্রোতস্বিনী মধ্য প্রদেশের বেতুল জেলার নিকটস্থ মূলতাই হইতে জন্মলাভ করিয়া সাতপুৱা গিরিশৃঙ্গ ভেদ করতঃ খান্দেশ জেলার উচ্চভূমি দিয়া অবশেষে সাগরে মিলিত হইয়াছে। সুরাট জেলার মধ্যে তপতীর কতকগুলি শাখা প্রবাহিত, তন্মধ্যে পূর্ণ, অরুণাবতী গােমতী প্রভৃতি শাখা নদীগুলি প্ৰসিদ্ধ। তপতীর উৎপত্তি স্থান হইতে সাগর-সঙ্গম পৰ্য্যন্ত ইহার উভয় তটস্থ নৈসৰ্গিক সৌন্দৰ্য্যই বৈচিত্ৰ্যময়, কোথাও অভ্ৰভেদী গিরি শ্রেণী বিরাজিত, কোথাও সবুজ-সুন্দর শস্যক্ষেত্র, কোথাও শালবন শ্রেণী, কোথাও জনকোলাহল মুখরিত সুন্দর নগর আর কোথাও বা বিজন প্ৰদেশ, এইরূপ বৈচিত্র্য অধিকাংশস্থলে সুদুর্লভ। তপতীর উভয়তীরে ১ - ০টি মহালিঙ্গ বা তীৰ্থ বিরাজিত। এ সকলের মধ্যে সুজাতীশ্বর, নরবাহন লিঙ্গ, মচুকুন্দেশ্বর | জামদগ্ন্যোশ, উজ্জ্বলেশ্বর এবং সুরাট হইতে ১৫ মাইল পূর্বে বােধন নামক তীৰ্থ বিখ্যাত, এই বােধন তীর্থে প্রতি দ্বাদশ বর্ষন্তে ধৰ্ম্মমেলা হইয়া থাকে। সুরাট হইতে দুই মাইল দূৱস্থিত নদীর উজানে অশ্বিনীকুমার এবং গুপ্তেশ্বর ካ ༥་ . " ' 'לות )? - ... . . . . .'; ' ! | ܪܵ : v. ፡” . . * 8. 蜗