পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

マラび三siヨ 1 সূরাটের পথে ভরোিচ নামক ষ্টেসনে অবতরণ করিয়া প্ৰাচীন ভরোচনগরী দর্শন করিয়া লইলাম। ইহা অতি প্ৰাচীন স্থান। মৎস্যপুরাণ, মার্কণ্ডেয়পুরাণ, বৃহৎ সংহিতা প্রভৃতি গ্রন্থে ও ইহা ভারুকচ্ছ, ভীরুকচ্ছ, এবং ভরোচ্ছি নামে অভিহিত হইয়া আসিতেছে । ঐতিহাসিক টলেমি এই ভারুকচ্ছ নগরীকে বারিগজ নামে উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন । প্ৰবাদ আছে যে প্রাচীন কালে এস্থানে ভৃগুমুনির আশ্রম ছিল, পরে ঐ শব্দ অপভ্ৰংশ হইয়া ভরু হইয়াছে এবং ভৃগুর অধিষ্ঠিত কচ্ছ বা বেলা ভূমি বলিয়া ইহা ভরোেচ্ছ বা ভরোিচ নাম ধারণ করিয়াছে। পূর্বে এই নগর সমুদ্র ও নিৰ্ম্মাদার সঙ্গম স্থানে অবস্থিত ছিল, কিন্তু এখন সাগর ইহার নিকট হইতে বহুদূরে গিয়া সরিয়া পড়িয়াছে,-এই প্রদেশ ও গুজ্জারের অন্তৰ্গত। সুপ্ৰসিদ্ধ চৈনিক পরিব্রাজক য়ুয়ানচয়ঙের ভ্ৰমণ বৃত্তান্ত হইতে জানিতে পারা যায় যে এক সময়ে ইহা বৌদ্ধ ভিক্ষুগণের একটা কেন্দ্ৰস্থল ছিল, তখন এস্থানে ১০টি বৌদ্ধ সঙ্ঘারাম, ১০টি বৌদ্ধ মন্দির ও তিন শত বৌদ্ধ ভিক্ষু বাস করিত। দঙ্গবংশীয়, সেনবংশীয় এবং আনহিল বাড়পতি সিদ্ধারাজ জয়সিংহের রাজত্বের পরে ইহা মুসলমানদের করতলগত হয় ; মহারাজ জয়সিংহই নৰ্ম্মাদার স্রোতবেগ হইতে এনগর রক্ষা করিবার জন্য উক্ত নদীর তটভাগে প্ৰায় ৪০ ফিট উচ্চ এক প্রাচীর নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন, অদ্যাপি স্থানে স্থানে সে প্রাচীন কীৰ্ত্তি গরিমার চিহ্ন সমূহ দেদীপ্যমান রহিয়াছে। মুসলমান রাজত্বে এই স্থানের বহু পরিবর্তন সংঘটিত হয়, পরে ১৬১৬ খ্ৰীষ্টাব্দে ইংরেজ বণিকগণ কর্তৃক এস্থানে বাণিজ্য কুঠি নিৰ্ম্মাণ হইবার পর হইতে ইহার খ্যাতি আরও বিস্তৃত হইয়া পড়ে। ܝ বৰ্ত্তমান সময়ে ভরোচনগরী গুজ্জারের অন্যতম প্ৰসিদ্ধ বাণিজ্য স্থান । এ স্থানের লৌহ, কাষ্ঠ, সুপারি, গুড়, কার্পাস বস্ত্ৰ, চাউল ইত্যাদি নানাদেশে বিক্রয়ার্থ প্রেরিত হয় । ভরোচনগরী রেবার তটদেশে অবস্থিত। নৰ্ম্মন্দাও ইহার নিকট দিয়াই প্রবাহিতা । বৰ্ত্তমান সময়ে এই নগরী বিশেষ প্ৰসিদ্ধ ԳԳՀ