পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১০৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বারদ । ইনি পূর্বে এক দরিদ্র বালক ছিলেন,--ভূতপূৰ্ব্ব গাইকোয়ার তৎকালীন পলিটিকেল এজেণ্টের বিষন্নয়নে পতিত হওয়ায় রাজ্যচুত হ’ন—সে সময়ে ইংরেজ গভৰ্মেণ্ট তাঁহার দূর সম্পর্কিত এই দরিদ্র বালককে এই সুবৃহ রাজ্যের অধিকার প্রদান করেন । মহারাজা গাইকোয়ার ইংরেজ রাজ্যে গমন করিলে ২১টি তোপ পাইয়া থাকেন । বরদানগর বিশ্বামিত্ৰ নদীর পূর্বতটে অবস্থিত, এই নগর বিশেষ সমৃদ্ধিশালী এবং বোম্বাই প্রেসিডেন্সীর মধ্যে ইহা তৃতীয় স্থানীয়। ইহার আয়তন প্ৰায় তিন শত বর্গ মাইল । রেলওয়ে স্টেসন হইতে যে সুপ্ৰশস্ত রাজপথটি নগরে প্রবেশ করিয়াছে আমরা বরাবর সে পথেই অগ্রসর হইয়াছিলাম, এই রাজপথটি ছাড়া এই নগরের অন্যান্য রাজপথগুলিও বেশ প্রশস্ত। বরদা সহর দুইটি বৃহৎ রাজপথ দ্বারা চারি ভাগে বিভক্ত, নগরের ঠিক মধ্যস্থলে বাজারের নিকটে মোগলদিগের সময়ের একটা তিন খিলানী চৌকা দালান আছে—প্ৰাচীন দর্শনীয় স্থানের মধ্যে বরোদানগরে ইহাই কেবল মাত্র দ্রষ্টব্য পদার্থ। এতদ্ভিন্ন মহারাষ্ট্র অধিকারের সময়ে নিৰ্ম্মিত ফতেসিংহের দরবার প্রভৃতি অট্টালিকা প্রাচীন হইলেও ভাস্কর কাৰ্য্যের নিপুণতা প্ৰযুক্তিই হউক কিংবা অন্যরূপ বাহ্যিক সৌন্দর্য্যের জন্যই হউক —ইহার তেমন কোনও বিশেষত্ত্ব নাই যাহা উল্লেখ যোগ্য বিবেচিত হইতে পারে । রেলওয়ে ষ্টেসন হইতে কেণ্টনমেণ্ট এক মাইল দূরে অবস্থিত। সেনানিবাসে যাইবার নিমিত্তে বিশ্বামিত্ৰ নদী ও তাহার শাখার উপর চারিটি সুন্দর সেতু আছে। সেনানিবাসের পাশেই রেসিডেন্সী, রেসিডেন্সী এবং ক্যাণ্টনমেণ্ট উভয়ই দেখিতে অতিশয় সুন্দর। রেসিডেন্সীতে একজন ইংরেজ রেসিডেণ্ট বাস করিয়া থাকেনরাজ্য-সংক্রান্ত যদি কোনও গুরুতর বিষয়ের আলোচনার দরকার পড়ে, তবে র্তাহার সহিত পরামর্শ করিয়া তাহা সুসম্পন্ন করিতে হয় । মলহর রাও গাইকোয়ারের সময়ই বরোদ নগরীর যথেষ্ট শ্ৰীবৃদ্ধি সাধিত হইয়াছে। নজরবাদ, মকরপুরা, লক্ষীবিলাস প্রভৃতি রাজকীয় প্রাসাদ এবং যমুনাবাই হাসপাতাল, রাজকীয় পুস্তকাগার, জেলখানা, বরোদাকালেজ ও রাজগণের প্রতিষ্ঠিত হিন্দু দেবমন্দিরাদি সমূহের মধ্যে বিটঠল মন্দির १छेदा ठूान शैठा। ि। ዓሦ›