পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शून°फू । কর্তৃক আক্ৰমিত হইয়াছে—এবং অনেকবার তাহারা ইহা অধিকার করিয়াছে—সেই বিপদ সময়ে রাজা এই স্থান পরিত্যাগ পূর্বক গিরনার দুর্গে আশ্রয় গ্ৰহণ করিতেন। গিরনার দুর্গ অতিশয় দুরারোহ বলিয়া শক্রিগণ সহজে তাহা অধিকার করিতে পারিত না । বর্তমান সময়ে গভৰ্মেন্টের কাছারি এবং বহু বিশিষ্ট ভদ্ৰ মহোদয়গণ বাটী নিৰ্ম্মাণ করিয়া ইহার নাগরিক সমৃদ্ধি বহু পরিমাণে বৃদ্ধি করিয়াছেন । বৰ্ত্তমান সহরের নাম মুস্তফাবাদ । বৰ্ত্তমান নগরী হইতে প্রায় অদ্ধ ক্রোশ পূর্বদিকে “দামোদর কুণ্ড” নামক একটি পবিত্ৰ তীৰ্থ আছে-একটা ক্ষুদ্রকায় নির্বারিণীর নিৰ্ম্মল সলিল রাশিতে ইহা সৰ্ব্বদা পরিপূর্ণ থাকে । এখানে ধৰ্ম্মশালা থাকায় ভ্ৰমণকারীগণের অবস্থানের জন্য কোনও রূপ কষ্ট ভোগ করিতে হয় না। জুনাগড় ও দামোদর কুণ্ডের মধ্যবৰ্ত্তী পাহাড়ে প্রাচীন পুরাতত্ত্ব এবং ঐতিহাসিক সম্পর্কিত কতকগুলি শিলালিপি আবিস্কৃত হইয়াছে । ঐ সকল শিলালিপিতে মহারাজা অশোক, স্কন্দ গুপ্ত এবং রুদ্রাদামার নামোল্লখ দৃষ্ট হয়। জুনাগড়ের নিকটবৰ্ত্তী স্থান সমূহের মধ্যে মান্দোল নগরের জুমা মসজিদ, বামনস্থলীর সূৰ্য্যকুণ্ড, গিরনারের বোর দেবীর মন্দির, মুসলমান রীত্যানুযায়ী নিৰ্ম্মিত নানাবিধ কারুকাৰ্য্য পরিশোভিত বাহাদুর খাজি ও লাড়লি বিবির মুকোৰ্চার গঠন অত্যন্ত মনোরম। পূর্লে জুনাগড়ে সুদৰ্শন কুণ্ড নামক একটী তীর্থস্থল বিদ্যমান ছিল—এখান তাহা বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছে। জুনাগড় বোম্বাই বিভাগের একটী স্বাস্থ্যকর স্থান, ইহার জল বায়ু উত্তম, এ স্থানে হিন্দু, মুসলমান, জৈন, প্রভৃতি বহু শ্রেণীর লোক বাস করে। আমরা এস্থান হইতে পোড়বন্দর রওয়ান হইলাম । У o e సిని