পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

25 আমরা পোড়বন্দর হইয়া দ্বারকা আসিলাম, পোড়বন্দর ক্ষুদ্র সহর, আর তেমন উল্লেখ যোগ্য কিছুই এখানে নাই বলিয়া আর পুস্তকের কলেবর বৃদ্ধি করিলাম না। এ পথের একটু বর্ণনা প্রয়োজন। বোম্বে ডক্ হইতে সেফার্ড কোম্পানীর জাহাজে ২ দুই টাকা ভাড়া দিয়া ও দ্বারকা আসিতে পারা যায় বটে কিন্তু আমরা ইচ্ছা করিয়াই ভবনগর ও জুনাগড় হইয়া এ পথে আসিয়াছিলাম। একদিন প্রত্যুষে গো-শকটে পোড়বন্দর হইতে দ্বারকাভিমুখে রওয়ানা হওয়া গেল, দ্বারকা সেখান হইতে চারি দিনের পথ। ঢেকস ঢেকস করিয়া সেই জনমানবহীন পথ ধরিয়া আমরা অগ্রসর হইতে লাগিলাম, পাৰ্বত্য প্রদেশ দুই ধারেই উচু নীচু ছোট ছোট উপল বিভূষিত গিরি শ্রেণী বিরাজমান—কোথাও বন্ধুর উপত্যকা—শালবন শ্রেণী, আবার কোথাও বা একদিকে সমুদ্র, ধূ-ধূ-করে মরুময় প্রান্তর জন-মানবের আবাসভূমি কোথাও আছে বলিয়াই প্রতীয়মান হয় না। এ পথে যে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করিতে দুইয়াছে তাহা চিরদিনের নিমিত্তে হৃদয়ে জাগরুকি থাকিবে । প্রখর রৌদ্রের তাপে যখন প্রান্তর ভূমির ভিতর দিয়া গাড়ী চলিত,- তখন উত্তপ্ত বাতাসে ও ধূলির যন্ত্রণায় এবং সর্বোপরি পিপাসায় যেরূপ জলাভাবে कके आश्रङ इश्ङ–ठाश डूख्एङागै राडौङ अभद्रएक दूोन अनङद । এ সকল যন্ত্রণা সহ্য করিতে করিতে আমরা চার দিনের দিন প্রত্যুষে দ্বারকা নগরীতে উপনীত হইলাম। আমাদিগের গাড়োয়ান প্রতিমুহুর্তেই আমাদিগকে ডাকাতের হাতে পড়িবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা বুঝাইয়া দিত, কিন্তু জগদীশ্বরের মঙ্গলাশীর্বাদে আমরা পথে কোনও রূপ বিপদগ্ৰস্থ হই নাই। এতদীর্ঘকাল গো-শকটে আর কোথাও ভ্ৰমণ করি নাই—দ্বারকায় পহুছিয়া বড়ই ক্লান্তি অনুভব করিয়াছিলাম। র্যাহারা দ্বারক দর্শনাভিলাষী তাহদের কলকেই আমি বােম্বে হইয়া এখানে আসিতে অনুরোধ করি, নচেৎ এ পথে আসিলে বিশেষ কষ্ট ও যন্ত্রণা সহ্য করিতে হইবে। 8