পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বারকা । বৰ্ত্তমান দ্বারকা ও শ্ৰীকৃষ্ণের সে দ্বারকাপুরী এক নহে, মুরলীধারী বনমালীর সে সাধের দ্বারকাপুরী এখন সমুদ্র গর্ভে নিহিত। কিন্তু তাহা হইলে কি হইবে ? এখন এই দ্বারকাই প্রাচীন দ্বারকার প্রতিভুরূপে তীৰ্থ বলিয়া পরিগণিত। দ্বারকা, বরোদা রাজ গাইকোবারের অধিকার ভুক্ত, এবং কঠিয়াবাড়ে মধ্যে একটি প্রধান বন্দর ও হিন্দু তীর্থ। ইহা আহম্মদবাদ নগর হইতে ২৩৫ মাইল দক্ষিণ পশ্চিমে এবং বরদা নগরী হইতে ২৭০ মাইল পশ্চিমদিকে অবস্থিত । দ্বারকা নগরীর লোক সংখ্যা প্ৰায় পাঁচ সহস্ৰ হইবে, ইহা বরদা রাজ্যের ও খমণ্ডল প্ৰদেশস্থ বাঘের নামক জেলার প্রধান নগর। এস্থানে বােম্বাই প্রদেশীয় দেশীয় পদাতিক সৈন্য ও ওখমণ্ডল ব্যাটালিয়ন নামে একদল গোরা সৈন্য বাস করিয়া থাকে। আমরা সারা দিবস বাসায় অবস্থান করিয়া বিশ্রামাদি করতঃ অপরাহ্নে একবার নগর ভ্ৰমণে বাহির হইলাম। ইহা একটা ক্ষুদ্র সহর, দু’ একটি রাস্তা ছাড়া অধিকাংশই অপ্ৰশস্ত । এখানকার প্রধান সৌন্দৰ্য্য কচ্ছোপসাগরের সুনীল সৌন্দৰ্য্য। সাগর কতবার দেখিয়াছি এবং দেখিতেছি তবু জানিনা কি এক অজ্ঞাত আকর্ষণী শক্তিতে উহা আমাকে আকর্ষণ করিয়া ফেলে। কি সুন্দর, কি মহান! বিশ্বপতির সৌন্দৰ্য্য সৃষ্টির মধ্যে এমনি মহত্ত্ব ও বিরাটত্ব আছে যে যাহা দেখিয়া মানুষের আশা মিটেনা এবং ভাষায় তাহ প্ৰকাশ করিতে পারেন । দেখিতে দেখিতে সন্ধ্যার ধূসর আবরণে “দিবসের রাজকাৰ্য্য সমাপন করিয়া সূৰ্য্যদেব সমুদ্র গর্ভে ডুবিয়া গেলেন, আমরা ও বাসায় ফিরিয়া আসিলাম । পরদিন প্ৰত্যুষে দ্বারকানাথের মন্দির দেখিতে চলিলাম। তীর্থ যাত্ৰিগণের পক্ষে ইহাই এ স্থানের প্রধান দ্রষ্টব্য পদার্থ। কথিত আছে যে - দ্বারকায় দ্বারকানাথ দৰ্শন করিলে এবং সাগর-সঙ্গমে অবগাহন করিলে মানুষের আর পুনরায় জন্মগ্রহণ করিতে হয় না। গোমতী নাম্নী স্রোতস্বিনী এস্থানে সাগরের সহিত মিলিত হওয়ায় এস্থানেধ পবিত্রতা আরও বেশী বুদ্ধি পাইয়াছে। দ্বারকা নগরে প্রতি বৎসর প্রায় দশ সহস্ৰ যাত্রীর সমাগম হইয়া থাকে। আরকানাথের মন্দিরটি পঞ্চতল ও ১০০ একশত ফিট উচ্চ। কিংবদন্তী প্রচলিত আছে যে এই সুবৃহৎ মন্দিরটি ঐশ্বরিক শক্তি প্রভাবে SG