পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বারকা । পোড়বন্দরের ত্ৰিশ মাইল দক্ষিণে সমুদ্র গর্ভে নিহিত আছে বলিয়াই স্থানীয় জনসাধারণে বিশ্বাস করিয়া থাকেন। দ্বারকার তীর্থ মাহাত্ম্য শ্ৰীকৃষ্ণের বাসাবধির পূর্ব হইতেই প্ৰসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল, কারণ মহাভারতের সভাপর্বে ধৌম্য যুধিষ্ঠিরকে যে তীর্থের ইতিহাস শুনাইতেছেন তাঁহাতেও দ্বারকার উল্লেখ দৃষ্ট হয়। ‘দ্বারকামাহাত্ম্য” নামক গ্রন্থে দ্বারকার উৎপত্তি সম্বন্ধে জানিতে পারা যায় যে প্ৰাচীনকালে শয্যাতি নামে এক প্ৰবল প্ৰতাপান্বিত নরপতি বাস করিতেন, তাহার উত্তানবহি, আনাৰ্ত্ত ও ভূরিসেন নামক তিনটী পুত্ৰ ছিল, রাজার পুত্ৰত্ৰয়ের মধ্যে আনৰ্ত্ত বিশেষ ধাৰ্ম্মিক এবং কৃষ্ণ ভক্তি পরায়ণ ছিল সে একদিন পিতাকে বলিয়াছিল যে এ সমস্ত রাজ্য আপনার কিছুই নহে সমুদয়ই শ্ৰীকৃষ্ণের গর্বান্ধ নরপতি শৰ্য্যাতি পুত্রের প্রমুখাৎ এই কথা শুনিয়া ক্রুদ্ধ হইলেন এবং আনর্জকে রাজ্য হইতে তাড়াইয়া দিলেন । কৃষ্ণভক্তি পরায়ণ আনৰ্ত্তি পিতার দ্বারা এইরূপে বিতাড়িত হইয়া অবশেষে সমুদ্রকুলে আগমন করতঃ বৈকুণ্ঠ পতিকে স্মরণ করিতে লাগিলেন, ভক্তবৎসল দীননাথ ভক্তের করুণ প্রার্থনায় গ্ৰীত হইয়া বৈকুণ্ঠ হইতে শতযোজন ভূমি উৎপাটন করিয়া ভীমনাদী নামক সাগরে সুদৰ্শন চক্ৰধারণ পূর্বক তাহার উপরে স্থাপন করাইয়া আনর্জকে বাস করিতে বলিলেন। কৃষ্ণভক্ত আনৰ্ভ সেই ভূমিখণ্ডে পুত্র পৌত্ৰাদি ক্রমে রাজত্ব করিয়াছিলেন, তাহার রেবত নামক পুত্ৰ হইতেই রৈবতক গিরির উৎপত্তি এবং ইহঁর দ্বারাই কুশস্থলী বা দ্বারাবতী পুরী নিৰ্ম্মিত হয় । দ্বারকার পাণ্ডারা একটী গল্প বলেন যে প্রতিদিন কোনও নিদিষ্ট সময়ে বিশেষ লক্ষণযুক্ত একটী পক্ষী প্ৰায় ত্ৰিশ মাইল দক্ষিণ সমুদ্র গর্ভ হইতে উত্থিত হইয়া দেবমন্দিরের নিকটে আসে এবং দেবের প্রসাদী তণ্ডুল ভক্ষণ করে দেব সমক্ষে নৃত্যকরে পরিশেষে কিয়ৎকাল মধুর স্বরে গান গাহিয়া গাহিয়া মৃত্যুমুখে পতিত হয়। এই পক্ষীর গাত্রবর্ণ ও লক্ষণাদি দৃষ্টে পাণ্ডারা মৌসুম বায়ুর গতি স্থির করিয়া থাকেন। আবুল ফজল “আইন-ই-আকবরী’ নামক বিখ্যাত গ্রন্থেও ইহার উল্লেখ করিয়াছেন। দ্বারকানাথের মন্দির ব্যতীত এ স্থানে আরও কয়েকটি দেব মন্দির এবং ԳՏԳ डौर्थ भांशांना । দ্বারকার উৎপত্তি ।