পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ kä এখানকার জরি, রেশম এবং জহরতের কাজ বিশেষ প্ৰসিদ্ধ। কয়েক বৎসর হইল কয়েকজন কাশ্মীরি বণিক এ নগরে শালের কারখানা স্থাপন করিয়াছেন। এখানে কাচের বাসন তৈরির ও কাগজের কল প্রতিষ্ঠিত আছে। এতদ্ব্যতীত সয়াদৎগঞ্জ, শাহগঞ্জ, চিকমণ্ডী প্রভৃতি স্থানের হাটে শস্য, তুলা, চৰ্ম্ম প্রভৃতি এবং মৃত্তিকা-নিৰ্ম্মিত পুত্তলিকা প্রচুর আমদানী হয়। গীতবাদ্যের চর্চা এ নগরে খুব বেশী ; এস্থানে হিন্দুস্থানী ওস্তাদ দিগের অধীনে বহু সঙ্গীত-বিদ্যালয় পরিচালিত হয়। লক্ষ্মৌতে মাটিনিয়ার বিদ্যালয় ব্যতীত ক্যানিংকলেজ বিশেষ বিখ্যাত—এই কলেজের সভাপতি স্বয়ং বিভাগীয় কমিশনার সাহেব মহােদয়। ইহা ছাড়া আমেরিকান মিশনের অধীন ৭টা ও ইংলিস চার্চ মিসনের অধীনে ৫টীি বিদ্যালয় আছে। , , লক্ষ্মেীর সর্বপ্রধান দ্রষ্টব্য ইমামবাড়া। ;-এ সম্বন্ধে প্ৰসিদ্ধ প্রত্নতত্ত্ববিদ ফাগুসন সাহেব লিখিয়াছেন, “* ** The great Imambara, which though its details will not bear too close an examination, is still conceived on so grand a scale as to entitle it to rank with the buildings of an earlier age." লক্ষ্মৌ মাটির কাজের জন্য বিশেষ বিখ্যাত। এখানকার মৃত্তিকা-নিৰ্ম্মিত পুতুল, ও বাসন ইত্যাদি দেখিয়া আনন্দলাভ করিয়াছিলাম। স্থানীয় মিউজিয়ামে ( আজব-ঘরে ) রেসিডেন্সির অবিকল মাটির চিত্ৰ আছে।