পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਵਸ নোেবাম্বাই হইতে আসিবার পথে আমরা জব্বলপুর অবতরণ করি। মধ্য প্রদেশের মধ্যে জব্বলপুর একটা প্রধান ও সুন্দর নগর। সমুদ্র পৃষ্ঠ হইতে প্রায় ১৪৫৮ ফিট উচ্চ একটা পাৰ্বত্য প্রান্তরে এই সুন্দর নগর বিরাজিত। ইষ্ট ইণ্ডিয়া রেলওয়ে ও গ্রেট ইণ্ডিয়ান পেনিনসুলার রেলওয়ের সংযোগ স্থল বলিয়া ইহা ভারতবর্ষের সর্বত্র পরিচিত একটা প্ৰধান রেলওয়ে ষ্টেশন। দূরে নগরের বাহিরে নীলগিরি শ্রেণী বিরাজিত থাকায় এ সহরটিকে বড়ই সুন্দর বােধ হয়। জব্বলপুর সহর অত্যন্ত আধুনিক, 2 ইহার নাগরিক সমৃদ্ধি ইংরেজ রাজের সঙ্গে সঙ্গেই বৃদ্ধি পাইয়াছে। ১৮৬১ { খ্ৰীষ্টাব্দে জব্বলপুর মধ্যপ্রদেশের একটা পৃথক জেলারূপে পরিণত হইবার হইতেই ইহার খ্যাতি ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাইয়াছে। একজন । ডেপুটি কমিশনার, সহকারী ও তহশীলদারদের সাহায্যে শাসন-সংরক্ষণাদি । কাৰ্য্য-নিৰ্বাহ করিয়া থাকেন। । ষ্টেশন হইতে সহর প্রায় এক মাইল দূরে অবস্থিত, ষ্টেসনে সিগারাম, টাঙা ও এক্কা যথেষ্ট পাওয়া যায়। সিগারাম পাল্পী গাড়ীর নামান্তর, টাঙা টমটমের মত এক প্রকার শকট, এক্কার বিষয় কিছু বলা নিম্প্রয়োজন । আমরা ধীরে ধীরে একখান টাঙা আরোহণে নগরের দিকে অগ্রসর হইলাম, সহরটি সাহেবী ধরণের, সুন্দর সুন্দর বাংলো ও বৃহৎ বৃহৎ সৌধমালায় নাগরিক সৌন্দৰ্য্য বুদ্ধি করিতেছে। প্ৰধান প্ৰধান বিচারালয় ও আফিসগুলিও এই সহরেই বিরাজিত। নগরের চতুদিকের বহু বড় বড় গৰ্ত্ত সরোবরের আকারে পরিণত হইয়া বড়ই সুষমা বৃদ্ধি করিয়াছে। ঐ সকল পুকুর বা দীর্ঘিকার চারি তীরে নানারূপ শ্যামল বিটপী শ্রেণী ও সুন্দর সুন্দর ঘাট থাকায় অতিশয় মনোরম বোধ হয়। সহরে একটি সুন্দর সরকারী উষ্ঠান আছে, উহার নিকট দিয়া নগরে প্রবেশের পথ চলিয়াছে, নগর প্রবেশের সময় গাড়ী হইতেই ঐ রম্য উষ্ঠানের একটা ছায়া-চিত্র হৃদয়ে অঙ্কিত করিয়া লইলাম। একখানা বাড়ী ভাড়া করিয়া আডিডা গাড়িয়া লওয়া >・> to S