পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জব্বলপুর অঞ্চলে প্রায় চারি মাস কাল বর্ষ থাকে। শীত ঋতুতে আসিলেই প্রপাতের - সৌন্দৰ্য্য পূর্ণরূপে উপলব্ধি করিতে পারা যায়। যিনি শুভ্ৰজ্যোৎস্না পুলকিত পূর্ণিমা নিশীথে এ স্থানের কল্পনাতীত সৌন্দৰ্য্য দর্শন করিয়াছেন তাহার সে সৌন্দৰ্য্য মোহ চিরজীবনেও কাটিবে না। শ্বেত মৰ্ম্মর প্রস্তরে কৌমুদী যখন প্ৰতিফলিত হইতে থাকে, যখন নৰ্ম্মাদার রজত শুভ্ৰ সলিল মধ্যে আবার তাহার প্রতিবিম্ব পতিত হয়—তখন কি যে অপূর্ব সৌন্দৰ্য্য দৃশ্য নয়ন সমক্ষে উদঘাটিত হয় তাহা একমাত্র কবি জন উপভোগ্য। জগতের সমুদয় ভুলিয়া গিয়া সেই অনন্ত পুরুষের এ মহান চিত্ৰ দেখিতে দেখিতে হৃদয় তন্ময় হইয়া পড়ে। বাস্তবিকই পূর্ণিমালোকে এ দৃশ্য কল্পনাতীত । সেই সময় তরণী বাহিয়া পরিভ্রমণ করিলে সত্য সত্যই বলিতে ठेष्छ इश् ;- “জ্যোছনা ঢলে তটিনী জলে কেগো । বাহ তরণী । নীরবে ঘুমায় ধরা, বিবশ্য আপন হাৱা ! আকাশে তার হাসে, ঢলে পড়ে নিশামণি ।” এ স্থানে রাত্ৰিতে থাকিবারও বিশেষ সুবন্দোবস্ত আছে। প্ৰপাতের কিয়ন্দরে ছোট পাহাড়ের উপর একটা ডাক বাংলা আছে, ঐ বাংলোর নিকটে কতকগুলি দেবমন্দির ও র্তাহাদের সেবক কতকগুলি ব্ৰাহ্মণ পুরোহিত্যাদির গৃহ থাকায় অবস্থানের পক্ষে কোনওরূপ অসুবিধা নাই। ডাকবাংলা সংশ্লিষ্ট একটী ক্ষুদ্র পুস্তকালয় থাকায় একেবারে নির্জন কারাবাস বলিয়াও ৰােধ হয় না। এ স্থানের সৌন্দৰ্য্য পূর্ণরূপে উপলব্ধি করিতে হইলে এখানে একটা দিন থাকা আবশ্যক। সহর হইতে প্ৰত্যুষে আহাৰ্য্য সামগ্ৰী ইত্যাদি সঙ্গে লইয়া আসিলেই কোনওরূপ অসুবিধা ভোগ্ন করিতে হয় না। সারাদিন ও রাত্রি এখানে অবস্থান করিয়া পরদিন প্ৰত্যুষে নগরে ফিরিয়া গেলেই বেশ হয়। দিবা দ্বিপ্রহরের সময় নৰ্ম্মাদার এই প্রপাত স্থলে আসিলে চারিদিকের ভীষণ স্তব্ধতায় প্ৰাণ কি যেন as agaiо ভয়ে শঙ্কিত হইয় ওঠে, কেমন একটা विष्णबऊ-८कभन