পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

oਵਿਕਿਸ =নক্ষ্মেী হইতে বেরিলি যাই। রোহিলখণ্ডের মধ্যে বেরিলি একটী বিখ্যাত নগর। ইহার পাদদেশ ধৌত করিয়া রামগঙ্গা নদী প্রবহমান। বেরিলি ষ্টেসনটী বেশ বড়, এবং একটি সংযোগস্থল। নগরের লোক সংখ্যা ১১০,০০০ তন্মধ্যে প্রায় অৰ্দ্ধেক হিন্দু এবং অৰ্দ্ধেক মুসলমান। এই সহর যে কোন সময়ে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, তাহার প্রকৃত ইতিহাস সংগ্ৰহ করা দুল্লাভ-কিম্বদন্তী হইতে জানিতে পারা যায় যে ১৫৩৭ খ্ৰীষ্টাব্দে এই নগরী নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। উত্তর-পশ্চিমের নগর সমূহের মধ্যে ইহা পঞ্চম স্থানীয়। র্যাহারা আলমোরা, নাইনিতাল, রাণীক্ষেত প্ৰভৃতি স্থানে যাইতে চাহেন তঁহাদিগকে এখান । হইতে গাড়ী পরিবর্তন করিয়া কাঠগুদাম নামক স্থানে যাইতে হয়, বেরিলি হইতে কাঠগুদাম পৰ্য্যন্ত একটী শাখা রেলওয়ে লাইন আছে। অযোধ্যার নবাবের পক্ষ হইয়। ইংরেজগবর্ণমেণ্ট এই স্থান অধিকার করার পূর্ব পৰ্য্যন্ত, বেরিলি বহুদিবস রোহিলাদিগের রাজধানীরূপে পরিগণিত ১৮০১ খ্ৰীষ্টাব্দে সম্পূর্ণরূপে এই নগর ইংরেজাধিকারে আইসে। যখন ভারতের চতুর্দিকে সিপাহী-বিদ্রোহের প্রবল-বহ্নি প্ৰজ্বলিত হইয়া উঠিয়াছিল-সে সময়ে সমগ্র রোহিলখণ্ডের বিদ্রোহানলের কেন্দ্ৰস্থলই বেরিলি ছিল। ১৮৫৭ খ্ৰীষ্টাব্দের মে মাসের প্রথমভাগে যখন ইংরেজসৈন্যেরা এখানে আসিয়া উপস্থিত হয়, তখন সমগ্ৰ বিদ্ৰোহীসৈন্য এখান হইতে পলায়ন করিয়াছিল। বেরিলি সহর দুইভাগে বিভক্ত--একাংশের নাম নূতন বেরিলি অপর অংশের নাম পুরাতন বেরিলি। পুরাণো বেরিলিতে একটি প্রাচীন দুর্গের ভগ্নাবশেষ लूग्ने इश-टश वाद्रव्न cल७ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। বেরিলিতে দেখিবার মধ্যে রামপুরের নবাবের । একটী প্রাসাদ ও জুম্মা মসজিদ ব্যতীত তেমন আর কিছুই নাই। নবাবের বাড়ী নগর হইতে কিঞ্চিৎ দূরে অবস্থিত। জুম্মা মসজিদটি ১৬৫৭ খ্ৰীষ্টাব্দে নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। এখানকার কয়েকটা বাজার বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। রাস্তাঘাটও দেখিতে বেশ সুন্দর। ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য উত্তরপ্রদেশের মধ্যে ইহার বেশ খ্যাতি আছে। এখানকার সৈনিকাৰীসট ()