পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইহা মােগলের অধীনে থাকিলেও রোহিলাস%ৱষ্কাই প্রকৃতপক্ষে এস্থানে । শাসন-বিধি পরিচালন করিতে সমর্থ হইয়াছিলেনN২৭৪soষ্ট্রীটল্পী মুরাদাবাদ । অযােধ্যার উজীরের শাসনাধীন হয় এবং ১৮০১ খ্রীস্টাব্দে ইহা ব্রিটিশসিংহের করতলগত হয়। সিপাহী-বিদ্রোহের সময় মজ্জ খাঁ নামক এক | ব্যক্তি এস্থানের শাসনকৰ্ত্তা ছিলেন—ইহার নেতৃত্বে বিদ্রোহানল এস্থানেও প্ৰজ্জ্বলিত হইয়া উঠিয়াছিল। রামপুরের নবাব ইংরেজপক্ষ অবলম্বন করিয়া এ অনল নির্বাণের চেষ্টা করিয়াছিলেন। কিন্তু অকৃতকাৰ্য্য হন। পরিশেষে জেনােরল জোন্সের অধীনস্থ ব্রিগেড সৈনিকবৃন্দ। ১৮৫৮ খ্ৰীষ্টাব্দে এস্থানে উপস্থিত হইয়া শান্তি স্থাপন করে । ইংরেজ শাসনাধীনে আসিবার | পর হইতে এস্থানের বহু উন্নতি সাধিত হইয়াছে । মুরাদাবাদ, জেলার প্রধান নগর ও সদর- রামগঙ্গা নদীর দক্ষিণ তািট অবস্থিত। এস্থানে দেখিবার মধ্যে জুম্মা মসজিদ ও আজমৎউল্লা খার সমাধি-মন্দির। জুম্মা মসজিদটি ১৬৩৪ খ্ৰীষ্টাব্দে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, আজমৎউল্লা খাঁ এ প্রদেশের একজন শাসনকৰ্ত্ত ছিলেন । রেলওয়ে ষ্টেসন হইতে প্ৰায় দেড় মাইল দূরে সেণ্টপলের গির্জাগৃহটিও দ্রষ্টব্য পদার্থের মধ্যে অন্যতম। রোহিলা প্রদেশের মধ্যে মুরাদাবাদের বাণিজ্যখ্যাতি খুব বেশী। নগরের লোক সংখ্যা ৭৪,০০০ । মুরাদাবাদ সদর ব্যতীত অমরহো, চন্দৌসী, সম্বল, সরাইতরণী, হসনপুর, বছরাওন, মউনগর, সির্সা, ঠাকুরদ্বার, ধানওয়ারা, অঘবনপুর, মোগলপুর ও নরোঁলীনগর প্রভৃতি স্থান বাণিজ্যের উন্নতিতে বিশেষ প্ৰতিষ্ঠা লাভ করিয়াছে। চন্দৌসীর চিনির - কারবার খুব বৃহৎ । মুরাদাবাদ ষ্টেসনের নিকটে একটী সুন্দর ডাকবাংলা আছে। এস্থানে পিত্তলের উপর অতি সুন্দর গিলটির কাৰ্য্য হইয়া থাকে l গিল্টির কাৰ্য্যের জন্য এ স্থান বিশেষ প্ৰসিদ্ধ। এতদ্ব্যতীত এই ক্ষুদ্র নগরে দ্রষ্টব্য এবং উল্লেখযোগ্য কিছুই নাই। আমরা মুরাদাবাদ দর্শনান্তে সে দিবসই রামপুর পহুছিলাম। We:S