পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਫਝ কলামপুর ছাড়িয়া বাষ্পীয় শকটে যখন হরিদ্বারাভিমুখে রওয়ানা হইলাম, তখন হৃদয়ে এক অপূর্ব আনন্দের উদয় হইয়াছিল;—শুভ্ৰ তুষারকিরীট-মণ্ডিত হিমাদ্রির পদমূলে সর্ব-পাপ-তাপ-নাশিনী পূত-সলিলা জননী ভাগীরথীকে প্রবাহিত দর্শন করিয়া ধন্য হইব-আহা ! কি আনন্দ ! দেখিতে দেখিতে দু’ধারের বন-জঙ্গলের মধ্য দিয়া বেগে ছুটিতে ছুটিতে বাষ্পীয় শকট আসিয়া লক্সর ষ্টেসনে পহুছিল, এখান হইতে গাড়ী পরিবর্তন করিয়া । হরিদ্বার বাইতে হইবে ; হরিদ্বার লক্সর হইতে ১৬ মাইল মাত্র ब्र अदश्ङि আমাদের গাড়ী লক্সর ছাড়িয়া অগ্রসর হইতে লাগিল। জানালার ভিতর দিয়া কি নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখিলাম-গিরিরাজ হিমালয় উন্নতমস্তকে ধ্যানমগ্ন-কে জানে সৃষ্টির কোন যুগে এই মহাযোগীর ধ্যানভগ্ন হইবে। পাহাড়ের উপর পাহাড়--তাহার উপরে পাহাড় গৌরবে দর্শকের সমক্ষে সৃষ্টিকৰ্ত্তা জগদীশ্বরের মহান মহিমা প্রচার করিতেছে। প্রতি শৃঙ্গবিনির্গত নির্বর যেন বলিতেছে “আরো মুগ্ধ মানব, তৃণাদপি তৃণ হইয়া তোমার এত অহঙ্কার, কত ক্ষুদ্ৰ তুমি সে কথা কি ভাব ?” যখন আসিয়া হরিদ্বারে উপনীত হইলাম তখন হৃদয়ে যে কি আনন্দ হইল তাহা বৰ্ণনাতীত। কি নয়ন-মন-মোহকার দৃশ্য! গগনস্পৰ্শী পৰ্বতমালা দাড়াইয়া রহিয়াছে, আর তাহারি পাদমূলে এই সুন্দর নগরী শোভা পাইতেছে। যিনি হরিদ্বার গমন করিয়াছেন তিনি প্রকৃতির স্নেহাঞ্চলে লুক্কায়িত এই স্থান দর্শনে নিশ্চিতই বিমুগ্ধ হইয়াছেন। আমরা আমাদের পাণ্ডার সমভিব্যহারে নির্দিষ্ট বাসায় আসিয়া বিশ্রাম এবং আহারাদি সমাপন করিয়া - শান্তি ও তৃপ্তি দুই-ই অনুভব করিলাম। আমাদের বাস-প্ৰকোষ্ঠের জানালা খুলিয়া দিলে, তুষারমণ্ডিত ধবলগিরির রজতকিরীটি দৃষ্টিপথে পতিত হইত-পাৰ্বত্য মৃদুমন্দ শীতল সমীরণ আসিয়া ক্লান্ত শরীরে সজীবতা ও প্ৰফুল্লতা ঢালিয়া দিত। ' SBB DDBB DDBD DBDB S yyDSDDBS BDB DDBD 也8”