পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুশাবৰ্ত্তঘাটে পিতৃগণের উদ্দেশে শ্ৰাদ্ধ ও তৰ্পণাদি করা প্ৰশস্ত—কথিত । ., আছে যেএখানে পিতৃলোকের উদেশে শ্রাতপাদি করিলে পিতৃগণ বিষ্ণুর ন্যায় হইয়া বিষ্ণুলোকে গমন করিয়া পরম শান্তিলাভ করেন। কুশাবৰ্ত্তঘাটের উৎপত্তি সম্বন্ধে কিম্বদন্তী প্রচলিত আছে যে একজন ঋষি এ স্থানে বসিয়া যখন যোগসাধনায় নিরত ছিলেন, সে সময়ে । গঙ্গা গিরিরাজ হিমাদ্রি হইতে পতিত হইয়া বেগে ঋষির কুশা স্রোতে ভাসাইয়া লইয়া গিয়াছিলেন। ঋষির ধ্যান ভঙ্গ হইলে তিনি তাহার কুশা দেখিতে না । পাইয়া নিতান্ত ক্রুদ্ধ হইলেন এবং সেই মুহূৰ্ত্তেই যোগ-শক্তি-প্রভাবে গঙ্গাকে। আকর্ষণ করিলেন ; গঙ্গা ঋষির আকর্ষণে হৃষ্টচিত্তে র্তাহার নিকট আসিয়া কুশ প্ৰত্যপণ করিলেন এবং বর দিলেন যে অদ্যাবধি এই ঘাটের নাম কুশাবৰ্ত্তাঘাট হইবে। আর এ স্থানে যে কেহ স্নান তৰ্পণ করিবে, তাহার পিতৃগণ বিষ্ণুলোকে গমন করিবে। কুশাবৰ্ত্তঘাটে আসিয়া দেখিলাম যে দলে দলে লোক এ স্থানে বসিয়া পিতৃলোকের তর্পণাদি করিতেছে—একদল যাইতেছে—আর এক দল আসিতেছে—আবার সে দল যাইতেছে-পুনরায় অপর দল কর্তৃক সে স্থান অধিকৃত হইতেছে--বিরাম নাই—বিশ্রাম নাই— কি পবিত্ৰ শ্ৰদ্ধার নিদর্শন। যাত্ৰিগণ সকলেই নিজ নিজ অবস্থানুযায়ী যথাসাধ্য দান ধ্যানাদি করিয়া থাকেন। গঙ্গার স্রোত এ ঘাটে অত্যন্ত প্ৰবল। ঘাটের সোপােনাবলীর সহিত লৌহ-শৃঙ্খল সংযোজিত থাকা সত্ত্বেও অতিশয় সতর্কতার সহিত স্নান করিতে হয়, যদি কোনও রূপে হস্ত শৃঙ্খল হইতে পৃথক হইয়া যায়। তবে যে কোথায় ভাসাইয়া লইয়া যাইবে তাহার ঠিকানা করাও, অসম্ভব। গঙ্গার প্রশস্ততা এ স্থানে প্ৰায় অৰ্দ্ধ ক্রোশ হইবে। হরিদ্ধারে । সর্বনাথ, মায়াদেবী, দক্ষেশ্বর, সীতাকুণ্ড, কনখল, নীলধারার ঘাট, চণ্ডীপাহাড়, বিহুকেশ্বর প্রভৃতি বহু দেবমন্দির ও দ্রষ্টব্য স্থান আছে আমরা একে একে । তাহাদের বিবরণ লিপিবদ্ধ করিলাম। . . . . . . বৰ্বনাথ-সর্বনাথের মন্দিরটি দেখিতে বেশ সুন্দর। মন্দির মধ্যে মধ্যে শতচূড়ায় সুশোভিত হইয়া উচ্চশিরে এই মন্দিরটি বিরাজ করিতেছেআঙ্গিনার চারিদিকে দ্বিতল অট্টালিকা সমূহ শোভমান હ y ' .. ' ' ..