পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সলাহাব্ৰাণপ্ৰিল । সনাহারাণপুর যুক্তপ্রদেশের একটা বিখ্যাত জেলা। মহম্মদ তোগলকের রাজত্ব সময়ে সাহারাণচিস্তির নামানুযায়ী ১৩১০ খ্ৰীষ্টাব্দে ইহা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। মােগলশাসন সময়ে মােগলসম্রাটগণ এ স্থানে গ্রীষ্মের সময় বাস করিতেন—ইহা তাঁহাদের প্ৰিয়তম গ্ৰীষ্মাবাস ছিল। আমরা এ স্থানে পহুছিয়া প্ৰথমে বাজার দেখিতে চলিলাম, বাজারে নানাপ্রকার দ্রব্যাদির মধ্যে এখানকার ফুলকাটা বাক্স দেখিতে অত্যন্ত মনোহরএই বাক্সের জন্য সাহারাণপুরের বিশেষ প্ৰসিদ্ধি আছে। পশ্চিমের অন্যান্য নগরের সহিত ইহার বিশেষ কোনও পার্থক্য অনুভব করিলাম না। এ স্থানের প্রাচীন স্থাপত্যচিহ্নের মধ্যে ‘বাদসামহল’ নামক প্ৰাসাদটি বিশেষরূপে উল্লেখযোগ্য, ইহা সম্রাট সাজাহানের গ্রীষ্মাবাসের জন্য আলীমৰ্দন খাঁ নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। এখানকার গবর্ণমেণ্ট বোটানিকেল গার্ডেনের জন্যই ইহা প্ৰসিদ্ধ, এই উদ্যানমধ্যে নানাশ্রেণীর দুপ্রাপ্য গাছ-গাছড়া যত্নের সহিত সংগৃহীত আছে -এতদ্ব্যতীত কৃষিবাগান, ভৈষজ্যবাগান, দােয়াব ক্যানাল নার্শারি প্রভৃতির জন্যও এই স্থানবিখ্যাত। স্থানীয় নার্শারিতে চারা প্ৰস্তুত, বীজরক্ষার প্রণালী ও বাগান প্ৰস্তুত নিয়মাদি শিক্ষা দেওয়া হয়। এ নগরের লোক সংখ্যা (৬৪,০০০ ) সাহারাণপুর জেলা বিশেষ উর্বর-সেণ্টাল কেনালের জন্য এই স্থানের বিশেষ সুবিধা হইয়াছে। এখােন হইতে আমরা পাঞ্জাবের দিকে অগ্রসর হইলাম-বাংলার শস্যশ্যামলা নয়নাভিরাম মূৰ্ত্তি আর এখন আমাদের নয়নপথে পতিত হয় না। একদিন এই পবিত্র পঞ্চনদবিধৌত স্থান ভারতের গৌরব স্থান ছিল—ষতই আমাদের গাড়ী সেই দিকে অগ্রসর হইতে লাগিল, ততই নানা কথা মনে পড়িল। এই কি সেই রণজিৎ সিংহের পাঞ্জাব ? একদিন যাহার বীরহুঙ্কারে পঞ্চনদ, কম্পিত হইত, র্যাহার সুশাসনপ্রভাবে পাঞ্জাববাসী একতার স্বমহান মঙ্গল-মন্ত্রে দীক্ষিত হইয়া ভারতের অতুল্য গৌরব রক্ষা করিতে সমর্থ হইয়াছিল--একদিন যে দেশের লোক শিরা দিয়াও শের রক্ষা করিয়াছিল ), - . . . . . f