পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টাকায় বারো সের দরে বেশ খাঁটি দুগ্ধ পাওয়া যায়। দুগ্ধবতী গাভীও খুব সস্তা, এগার সেরা দুগ্ধ দেয় এইরূপ একটী গাভী ৪৫২ টাকায় বিক্রয় , জলন্ধরের জলবায়ুর শ্রেষ্ঠত্বের নিমিত্ত এখানে অনেক ইংরেজ বাস । করিয়া থাকেন। সাহেবদের বাসের স্থানটি দেখিতে বেশ সুন্দর। প্রত্যেক বাংলো ও আফিসের সংলগ্ন এক একটা সুন্দর উদ্যান আছে। সুবিখ্যাত । বিজয়ী বীর আলেকজাণ্ডারের ভারত আক্রমণের পূর্বে ইহা রাজপুতদিগের গ রাজধানী ছিল। প্ৰাচীন ইতিহাসে জলন্ধরের নাম ‘গৌরবের সহিত লিখিত । থাকিলেও এ স্থানে দুইট প্রাচীন পুষ্করিণী ব্যতীত অন্য কোনও প্রাচীন । চিহ্ন কিংবা ভগ্ন প্রাসাদ ও মন্দিরাদি দৃষ্ট হয় না। জলন্ধরের | প্ৰাকৃতিক দৃশ্য পরম রমণীয়। নগাধিরাজের চরণতলে শ্যামল বৃক্ষলতাসমাচ্ছন্ন এই শান্ত-শীতল প্রদেশ সত্য সত্যই স্বাস্থ্য ও সুখপ্রদ। নীরবতার | সঙ্গে সঙ্গে কমনীয়তা, কোলাহলের সঙ্গে সঙ্গে স্তব্ধতা—এখানে পূর্ণ মাত্রায় । উপভোগ্য। জলন্ধর হইতে প্ৰায় চল্লিশ ক্রোশ উত্তরে সুবিখ্যাত জ্বালামুখী । তীর্থ অবস্থিত, পাঞ্জাবীরা সাধারণতঃ ইহাকে জালাজী কহে।