পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দারুণ অবনতি ! স্বালাজীর মন্দিরের প্রাচীর মধ্যে | কতকগুলি রন্ধ আছে, বায়ুকোণের রন্ধ হইতে অবিরত এক হস্ত দীর্ঘ অগ্নিশিখা নির্গত হইতেছে, বক্ৰীগুলিকে প্ৰদীপ সংযোগ করা মাত্ৰই ধা করিয়া প্ৰজ্জ্বলিত হইয় ওঠে, । ঐ অগ্নিতে হস্ত প্ৰদান করিলে উহা দগ্ধ হয় না। অথচ চাল, কলা প্রভৃতি ভক্ষ্যদ্রব্য প্ৰদান করিলে উহা দগ্ধীভূত হয় এইরূপ বহু প্ৰবাদবাক্য শুনিয়াছিলাম, তাহার অধিকাংশই কিন্তু অসত্য বলিয়া প্ৰমাণিত হইল। পি ইহা বলা আবশ্যক যে এস্থানে দৈবশক্তির বহু পরিচয় পাওয়া যায় । মন্দিরমধ্যে ছয়টীি জ্যোতি দেখা যায়, তন্মধ্যে মন্দিরের কোণে ষে বিহস্ত পরিমিত বৃহৎ অগ্নিশিখা দেখিতে পাওয়া যায় তাহার নাম “হিঙ্গলার জ্যোতি” । দেওয়ালের অন্যদিকে গন্ধকের নীলবৰ্ণ আলোকের ন্যায় ও : অপর একটা অগ্নিশিখা আছে। এ সমুদয় শিখাগুলি কখন দপ করিয়া জুলিয়া উঠিতেছে, কখনও নিবিতেছে, কখনও নামিতেছে, তাহদের অদ্ভুত চঞ্চল নৰ্ত্তন ভক্ত মাত্রেই বিস্মিত ও স্তস্তিতঙ্গদয়ে দর্শন করিয়া ভক্তিতে আপ্নত হয়। শিক্ষা ও সভ্যতার সঙ্গে সঙ্গে এবং নানাপ্রকার বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষতায় আজকাল ভক্তির স্রোত বহু পরিমাণে হ্রাস হইয়া আসিতেছে — শিক্ষিতের প্রত্যেক বিষয়ের মধ্যেই একটা অদ্ভুত বৈজ্ঞানিক যুক্তি প্ৰদৰ্শন করতঃ সরলবিশ্বাসী অজ্ঞ নরনারীর ঐকান্তিক ভক্তি ও শ্রদ্ধার বিরুদ্ধে ‘কুসংস্কার কুসংস্কার” করিয়া যেরূপ। চীৎকার তুলিতেছেন-ইহাতে এসকল তীর্থের মাহাত্ম্য যে আর কত কাল জীবিত থাকিৰে তাহাই বিশেষ সন্দেহ স্থল। মন্দিরের পার্শ্বে একটী কুণ্ড দৃষ্ট হয়, ইহার জল এস্থানে জাহ্নবীসলিলের ন্যায় পবিত্ৰতম বলিয়া বিবেচিত হইয়া থাকে। পর্বতগাত্ৰ হইতে বারি নিঃস্থত হইয়া এই কুণ্ডে পতিত হয়। যাত্ৰিগণ কুণ্ডের জল দ্বারাই শ্ৰাদ্ধ ও তৰ্পণাদি কাৰ্য্য নির্বাহ করিয়া থাকেন। নিশীথ সময়ে মন্দিরের চারিদিকে খছোতের ন্যায় একরূপ উজ্জ্বল আলোক বিকশিত হইয়া অপূর্ব সৌন্দৰ্য্য সৃষ্টি করিয়া হৃদয়ে বিস্ময়ের উদ্রেক করিয়া দেয়। আশ্বিন ও চৈত্র মাসে এস্থানে মেলা বসে, তন্মধ্যে চৈত্র মাসের মেলাতেই বহু তীর্থযাত্রীয়