পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকল বীরেন্দ্র এই সকল বৰ্ম্মে চৰ্ম্মে আচ্ছাদিত হইয়া সুদীর্ঘ । ལྷ་ས་ ༧༥༠ বল্লম হস্তে রণক্ষেত্রে গমনাগমন করিত, আজ তাহারা কোথায় ! তাহদের . চিরপ্রিয়তম অস্ত্রশস্ত্রের এখন কে ব্যবহার করে ? : , বাদশাহী মসজিদ—এই ভজনাগারটি লাহোর নগরের একটী ভূষণ- “ স্বরূপ; ইহা শাহুদারা পল্লীতে নিৰ্ম্মিত। ইহার সম্বন্ধে কেহ কেহ বলেনঃখে । আকবর ইহা নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন; আবার কেহ কেহ ইহাকে জাহাঁগীৱে । তাহাতে, শেষোক্ত সিদ্ধান্তই যথাৰ্থ বলিয়া অনুমিত হয়। এই মসজিদটি " দর্শনে আমরা যারপর নাই শ্ৰীতিলাভ করিয়াছি। মসজিদটি লোহিত “ প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত ও গুম্বজত্ৰয়ে ভূষিত। ইহার সম্মুখভাগে दिछूउ i é iथ 3. এবং চারিদিকে চারিটীি অত্যুচ্চ স্তম্ভ। উহার উপরে উঠিলে লাহোর | নগর দেখিতে বড়ই সুন্দর দেখায়। ' রণজিতের দরবার—শ্বেত মৰ্ম্মরপ্রস্তরে নিৰ্ম্মিত। ছোট হইলেণ্ড । উহার দৃশ্য মনােহর। এই গৃহে বসিয়াই মহারাজ রণজিৎ সিংহ বৈদেশিক । ও সামন্তরাজগণের সহিত আলাপাদি কিংবা তাঁহাদের প্রেরিত দূতগণের সহিত সাক্ষাৎ করিতেন। এই গৃহটিকে ইংরেজেরা বিশেষ আদরের চক্ষে দেখেন, কারণ এই গৃহে বসিয়াই রণজিতের পুত্র অভাগা দলীপ সিংহ । ংরেজ গভৰ্মেণ্টের হস্তে পাঞ্জাবের রাজ্যভার সমর্পণ করিয়াছিলেন। । , মহারাজা রণজিৎ সিংহের সমাধি-মন্দির-এই সমাধি মন্দিরটিয় অভ্যন্তরে পাঞ্জাবের চিরগৌরব, বীরকুলকেশরী রণজিৎ সিংহ চিরনিদ্রাগত। হায় পুরুষসিংহ ! একবার আসিয়া দেখ, তোমার ভবিষ্যদ্বাণীই সফল । হইয়াছে—আজি ভারতের সর্বত্রই লালের একাধিপত্য ! ১৮৪০ খ্ৰীষ্টাব্দে এই সমাধিমন্দিরটি নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। দেখিতে বেশ সুন্দর, কিন্তু পূর্বাপেক্ষা ইহার শ্ৰী বহুপরিমাণে হ্রাস হইয়া গিয়াছে। এখন উহাতে বহু জ্ঞানী ও সুবিদ্বান পণ্ডিত বাস করিয়া শাস্ত্রালোচনা করিতেছেন । আমরা জনৈক বিস্তাবিশারদ পণ্ডিতের মুখে শাস্ত্রের ব্যাখ্যা শুনিয়া বিশেষ তৃপ্তি