পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । করিয়াছিলেন যে, তাহারা নগর ছাড়িয়া পলায়ন করিতে বাধ্য হইয়াছিল। ১৮৪৯ খ্ৰীষ্টাব্দে এই নগর যখন ইংরেজাধিকারে আসে, তখন ইহার চতুর্দিক ভগ্ন অট্টালিকার স্তুপরাশিতে পরিপূর্ণ ছিল। পরে প্রতিবৎসর নূতন নূতন অট্টালিকাসমূহ বিনিৰ্ম্মিত হইয়া নগরের নব-শ্ৰী সম্পাদিত হইয়াছে। বৰ্ত্তমান নগর ১৯২ বিঘা জমি লইয়া ব্যাপ্ত। উহা পূর্বে ৩০ ফিটু উচ্চ ইষ্টক-প্রাচীরে বেষ্টিত ও তাহার চতুর্দিকে পরিখা ও নগর রক্ষণোপযোগী দুর্গ ও বুরুজাদিতে শোভিত ছিল। ব্রিটিশ গভৰ্মেন্টের অধীনে আসিবার পর হইতে উহার পূর্বতন ৩০ ফুট উচ্চ প্রাচীর ভগ্ন হওয়ায় ১৬ ফুট উচ্চ প্রাচীর তৈয়ারী করা হইয়াছে। প্রাচীরের চতুষ্পার্শ্ববৰ্ত্তী পরিখার পরিবর্তে এখন নানা জাতীয় সুন্দর সুন্দর বিটপীশ্রেণী সুশোভিত সুরম্য উষ্ঠানে নগরের সৌন্দৰ্য্য বহুপরিমাণে বন্ধিত হইয়াছে। কেবল উত্তরদিকের অংশ এখনও খালি আছে। : নুরজাইর সমাধি-জাহঁাগীরের সমাধি দেখিয়া ফিরিবার সময় পথে । জাহঁাগীরের প্ৰিয়তমা মেহের-উন্নেসার (নারীকুলের চন্দ্ৰ) সমাধি দেখিতে গিয়াছিলাম। যে অদ্বিতীয়া রমণীকে লাভ করিবার জন্য সম্রাট হইয়াও জাৰ্হাগীর আশ্রিত ও বীরশ্ৰেষ্ঠ শের আফগানকে অন্যােয়রূপে বধ করাইয়াছিলেন, এই খানে সেই সকল সৌন্দৰ্য্যললামভুত মেহের-উন্নেসার দেহাবশেষ DD SDDSDD DBiS BD SDD S DBDSB BD BBD D S BDDD প্ৰবল স্রোতবেগে তাহার সমাধি-মন্দির,-সেই উচ্চ অট্টালিকা, এমন কি তাহার কবরের শেষচিহ্ন পৰ্য্যন্ত ভাসাইয়া গিয়াছে। এখানে দাড়াইয়া পদতল বাহিনী রাবীর সেই কালনাদের মধ্যে কি শুনিতেছিলাম ? রাৰীি যেন বলিতেছিল—হে পান্থ! একবার রূপগর্বিতা ভুবনমোহিনী মেহেরের কথা ভাব ! যে শের আফগান বিবাহিতা পত্নীরূপে মেহেরকে প্ৰাণ দিয়া ভালবাসিতযে সেই রূপসীকে পাইয়া জগৎসংসারকে সুখাগার বলিয়া স্থির করিয়াছিল,-সেই বীরশ্ৰেষ্ঠ শের আফগানের মৃত্যুতে জাহঁাগীরের প্ৰেমআৰূল্যে-মুগ্ধা, কালাসাপিনী নুরজাহাঁ, প্ৰণয়ীর চরণতলে আত্মবিক্রয় করিয়া ভারতেশ্বরী হইল! এই বিবাহ দিবসে তাহার হৃদয়ে কি এক পলকের নিমিত্তও মৃত-পতির স্মৃতি জাগরিত হইয়া এক বিন্দু অশ্রু বিসর্জনের - 30&