পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করা অন্যায়-বোধে কালীবাড়ীর উদ্দেশ্যেই রওয়ানা হইলাম। তথাকার, মায়ের সেবক ব্ৰহ্মচারী শ্ৰীযুক্ত ভূষণচন্দ্ৰ ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় আমাদের | আগমনে সসন্ত্রমে গাড়ী হইতে লইয়া গেলেন এবং অবস্থানের ও শয়ন ভোজনের বিশেষ সুবন্দোবস্ত করিয়া দিলেন। আমরাও সুদূর প্রবাসে এইরূপ সর্বপ্রকার সুবিধা ও শাস্তিলাভ করিয়া সেই অনন্তের উদ্দেশে হৃদয়ের কৃতজ্ঞতা না জানাইয়া থাকিতে পারিলাম না । আহারান্তে নিদ্রার আরামদায়িনী শান্তিময় ক্ৰোড়ে ঢলিয়া পড়িলাম । রজনীতে মুষলধারে বৃষ্টি পতিত হইতে লাগিল। শীত ক্রমশঃই গাঢ় হইয়া উঠিল। আমরাও শীতবস্ত্ৰ জড়াইয়া জড়সড় ভাবে প্ৰগাঢ় নিদ্রা গেলাম। পরদিবস গাত্রোথান করিতে বেলা প্রায় আটটা বাজিয়া গেল । দ্বারোদম্বাটন করিয়া দেখি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, সূৰ্য্যের সহিত দেখা নাই, অরুণদেব বরুণদেবের নিকট পরাভূত হইয়া রহিয়াছেন। ইতিমধ্যে উল্লিখিত ব্ৰহ্মচারী মহাশয় আমাদের শয্যাপার্শ্বে আসিয়া উপবেশন করিলেন এবং নানাবিধ সদালাপ করিতে করিতে কহিলেন, “আপনারা যে পরিমাণ শীতবস্ত্ৰ লইয়া চলিয়াছেন, তাহা পূৰ্বাঞ্চলের পক্ষে প্রয়োজনাতিরিক্ত হইলেও এদেশের পক্ষে উপযুক্ত হয় নাই, কারণ আপনারা এস্থান হইতে যতই পশ্চিমদিকে অগ্রসর হইবেন, শীতের প্রকোপও ততই অধিক অনুভব করিবেন, অতএব এস্থান হইতে আরও কিছু শীতবস্ত্ৰ ( পশমী কাপড়) সংগ্ৰহ করিয়া লউন ৷” ব্ৰহ্মচারী মহাশয় বৃদ্ধ ও প্ৰাজ্ঞ তাহার এই উপদেশানুযায়ী কাৰ্য্য করিতে অস্বীকৃত হইলাম না । প্ৰাতঃকৃত্য সমাপনন্তে একখানা অশ্বশকটে আরোহণ করিয়া ছাউনীবিভাগের সমুদয় স্থান দর্শন করিলাম, এখানকার ন্যায় বৃহৎ সেনাবাস ভারতের আর কোথাও নাই—নগরের নিকটে মধ্যে মধ্যে ছাউনি বসাইয়া ও দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিয়া ইহা স্বরক্ষিত করা হইয়াছে। কেল্লার সম্মুখেই কয়েকজন হাইল্যাণ্ডার্স সৈনিক দেখিতে পাইলাম। আমরা মুরাদাবাদ ত্যাগ করিয়া এইরূপ হাইল্যাণ্ডার্স সৈন্য আর দেখিতে পাই নাই । এ অঞ্চলের লোকেরা সাধারণতঃ ইহুদিগকে লেংটা গোরা কহিয়া থাকে। বাস্তবিকই ইহারা নগ্ন ; পায়ে ফুল মোজা পরিধান করে এবং د . - . . ri Y ... "