পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tब्रङ्-ऊचभ१ ।। এই সকল পিশাচ-প্ৰকৃতির গাজীগণ সুযোগ বুঝিয়া কোনও হতভাগ্য সাহেবের হৃদয়ের শোণিতে আসি সুরঞ্জিত করে। রবিবার দিন ইংরেজেরাও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করিয়া থাকেন ; গির্জার পথে উভয় পাৰ্থে বহু পুলীশ প্রহরী এবং ব্রিটিশ সৈন্য শাণিত তরবারি হস্তে প্রহরায় নিযুক্ত থাকে। পেশোয়ারের নগরভাগ হইতে ছাউনীর অংশ অধিক পরিস্কৃত, সে স্থানে বহু সৈন্য বাস করে। তথায় মোমজামার কাপড়, সূতার কাজ, ছুরি, কঁাচি এবং বহু লৌহাস্ত্রও প্রস্তুত হইয়া থাকে। ক্যান্টনমেণ্টের মধ্যে স্বন্দর উদ্যান, রেস কোর্স (Race Course) রোমান ক্যাথলিক গিৰ্জা প্ৰভৃতি আছে মিসন হাউসের মধ্যে একটী অতি সুন্দর লাইব্রেরী আছে। মহারাজা রণজিৎ সিংহের রাজত্বকালে খাইবার অঞ্চল উৎকৃষ্টরূপে শাসিত ছিল। হরিসিংহ বা হরসিং নামক রণজিৎ সিংহের সেনাপতি ১৮১৮ খ্ৰীষ্টাব্দে সাহসী শিখসৈন্য দ্বারা পেশোয়ারীদিগকে এরূপভাবে দমন করিয়াছিলেন যে অদ্যাপি পেশোয়ারিগণ র্তাহার নামে শিহরিয়া উঠে। হিন্দুনরনারী ও শিখদিগের প্রতি পাঠানেরা যেরূপ উপদ্রব করিত, হরিসিংহ তদ্রুপ দণ্ড দিতে পশ্চাৎপদ হন নাই। র্তাহার কঠিন-শাসনে এই দুৰ্দ্ধৰ্ম পাঠানও মেষ-শাবকের মত নিরীহ হইয়া উঠিয়াছিল। ২৭ বৎসরের যুবক সেনাপতি হরিসিংহের এইরূপ অসাধারণ বীরত্ব ও কঠোর-শাসনের নিমিত্তই রণজিৎসিংহের শাসনসময়ে পাঠানগণ কোনও রূপ অত্যাচার করিতে সাহসী হয় নাই। হরিসিংহকে ভীষণ নৃশংসতার সহিত ইহাদিগকে দমন করিতে হয়। কথিত আছে যে, তাহার কঠিন আদেশে খাইবারিগণ গবাদি পশুর ন্যায় ( জলাশয় হইতে ) মুখ ডুবাইয়া জলপান করিত এবং শয়নকালে প্রথমতঃ ব্যক্ষভাগ শয্যায় স্থাপন করতঃ (উবুড় হইয়া) শয়ন করিত, তরবারের মুষ্টি কাহারও রাখিবার অনুমতি ছিল না-কেহ রাখিতও না। খাইবারিগণ এখনও যেন হরিসিংহ জীবিত আছেন, এইরূপ বিবেচনা করিয়া উক্ত প্ৰথা সকল পরিত্যাগ করে নাই। পেশোয়ারের মধ্যস্থলে একটী স্থান আছে, তাহার নাম “হারিসিংহের মাতম”-এস্থানে বীরেন্দ্ৰ হরিসিংহের তরবারির আঘাতে সহস্ৰ সহস্ৰ পাঠান নিহত হইয়াছিল, অস্থাপি পাঠানেরা এই মাতম