পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ। . যাইতে পারেন না। জামরূড হইতে প্ৰায় আট ক্রোশ দূরবীক্টাঁ আলিমসজিদ পৰ্য্যন্ত গাড়ীতে যাওয়া যায়, তৎপরে লুণ্ডিকোটাল পৰ্য্যন্ত ঘোড়ায় যাইতে হয়। প্ৰতি মঙ্গলবার এবং শুক্রবার বণিকদিগের নিমিত্ত পাসের দরোজা খুলিয়া দেওয়া হয়। সে সময়ে শান্তিরক্ষাৰ্থ ব্রিটিশ গভৰ্মেন্টের আফ্রিদী সৈন্যগণ নিষ্কাসিম্ভ কৃপাণহস্তে পাসের দ্বার রক্ষা করিয়া থাকে। মোট কথা খাইবারপাস দেখিতেও যেমন ভীষণ ইহার পার্শ্ববৰ্ত্তী অধিবাসীরাও তেমনি ভয়ঙ্কর। জামরূড হইতে যখন পেশোয়ার ফিরিয়া আসি, তখন আমার ভ্ৰমণাশক্ত চিত্ত বড়ই ব্যথিত । হইয়া উঠিয়াছিল ;–সে যেন বলিতেছিল “আই যে তোমার নয়ন সমক্ষে তুঙ্গ গিরিশ্ৰেণী:পরিশোভিত যবনিকা পতিত থাকিয়া দৃষ্টিপাথরোধ করি।-- তেছে, চল একবার দেখিয়া আসি উহার অভ্যন্তরে কোন অভিনব প্রদেশের ; পাত্ৰপাত্ৰিগণ অভিনয় করিতেছে! চল, যবনিকা ভেদ করি— প্ৰস্তুত হও।” বাস্তবিক সে সময়ে আমার কৌতুহল এতদূর বৃদ্ধি পাইয়াছিল যে, অতিকষ্টে আপনাকে সংযত করিয়া ফিরিতে হইয়াছিল। ভ্রমণের একটা আকর্ষণ শক্তি আছে-সহসা তাহার আকর্ষণ হইতে মুক্তি পাওয়া-তেমন ঘর মুখে লোক ছাড়া অপরের পক্ষে অসম্ভব। এ আকর্ষণী শক্তির হাত হইতে র্যাহারা মুক্তিলাভ করেন, তঁহাদিগকে আমি হতভাগ্য বলি, কারণ জগতে জন্মগ্রহণ করিয়া যদি কেবল ব্যসনাসক্তচিত্তেই দিন কাটাইলাম, —যদি জগৎপিতা জগদীশ্বরের বিভিন্ন রূপ-বৈচিত্ৰ্য অনুভব না করিলাম এবং ভিন্ন ভিন্ন দেশবাসী জনসাধারণের আচারপদ্ধতি, রীতি-নীতি না দেখিলাম, প্রাচীন ইতিহাস অধ্যয়ন না করিলাম, তবে জীবনধারণ করিয়া কি লাভ ? ভ্রমণের ভিতর যে কি অপূর্ব শান্তি-সুধা নিহিত আছে, তাহা যিনি কখনও পৰ্যটনে বাহির হন নাই, তঁহাকে বুঝাইতে যাওয়া বিড়ম্বন ব্যতীত আর কিছুই নহে। পেশোয়ার ভ্ৰমণ শেষ হইলে, আমরা পুনরায় আমাদের গতি ফিরাইয়া মুলতানের দিকে ফিরিলাম। জামরূড হইতে মুলতান আসিতে যে সকল । নদ নদী সেতু এবং नक न्शन দৃষ্টিগোচর হইয়াছিল, তাহা পাঠকবর্গের জ্ঞতাৰ্থ নিক্সে বিবৃত করা গেল। : SSv