পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নদনদী-সিন্ধু, বিতস্তা, চন্দ্রভাগ ও ইরাবতী। । সেতু—উল্লিখিত কয়েকটি নদীর উপরেই সুদৃঢ় সেতু। তন্মধ্যে প্রাটকের : নিকট সিন্ধু নদের সেতু নিরবচ্ছিন্ন লৌহময়। চন্দ্ৰভাগার সেতুও অত্যন্ত বৃহৎ। । প্রসিদ্ধ স্থান-পেশোয়ার, নােসেরা, আটক, কেম্বেলপুর, হুসেন আব্দুল, ” রাবলিপিণ্ডি বা পিণ্ডি, ঝিলম, লালমুসা, গুজরাট, উজিরাবাদ, লাহাের, । মিঞামীর, রেউণ্ড, মণ্টগমারী ইত্যাদি। লালমুসা হইতেই মুলতান পৰ্য্যন্ত । রেল গিয়াছে, এই রেলওয়ে লাইনের নাম “সিগু-গার রেলওয়ে।” - এই | রেলপথে গমন করিলে হারাণপুর, পিণ্ডীদাদন খাঁ, বখার, দেরাদিন, পালা, । মহম্মদকোট, মজঃফরগড়, সেরসা, দেরাইসমাইল খাঁ প্ৰভৃতি বহুস্থান দেখিতে পাওয়া যায়। সেরসার নিকট সিন্ধুর আর একটি আশ্চৰ্য্য সেতু । আছে। উজিরাবাদ হইতে শিয়ালকোট দিয়া কাশ্মীরের অন্যরাজধানী জম্মু | পৰ্য্যন্ত এক শাখা রেলপথ গিয়াছে । লাহাের হইতে মুলতান ও করাচি অভিমুখে যে পথ গিয়াছে, তাহার এক | শাখা ফিরোজপুর পর্য্যন্ত বিস্তৃত। আমার তথা হইতে রেল পরম্পরায় দিল্লী । পৰ্য্যন্ত যাওয়া যায়, ইহা বড়ই সুবিধাজনক রাস্তা। লাহোর হইতে মুলতান । ২০.৭ মাইল দূরে অবস্থিত। রেল বক্স টি ইরাবতীর বিশাল সমতল ক্ষেত্রের - মধ্য দিয়া সরলভাবে বিস্তৃত হইয়াছে। এইরূপ সরলরৈখিক সুবিস্তৃত রেলপথ ভারতের আর কোথাও আছে কিনা সন্দেহ স্থল। মুলতান যাইবার | পথ বড়ই বৈচিত্ৰ্যময়, সে বিচিত্ৰতা বাংলা দেশে আমরা কোন দিন অনুভব । করিতে পারি নাই ; রেলপথের উভয় পার্শ্বস্থ দৃশ্যাবলী প্ৰত্যেক বিষয়েই আমাদের নিকট নূতন বলিয়া প্রতীয়মান হইতেছিল—কোথাও দিগন্তবিস্তৃত বৃক্ষবপ্লৱীহীন তরঙ্গায়িত বালুকাময় ভূমি, উজ্জ্বল দিবালোকে ঝকমক । করিয়া জ্বলিতেছে, কোথাও বা হরিদ্বর্ণ তৃণাবৃত বসুধাসুন্দরী শোভমানা— আবার কিছু দূরেই সে দৃশ্য পরিবৰ্ত্তিত হইয়া গিয়াছে। উভয় পাৰ্থে । খৰ্জ্জুর-তরু-সমাকীর্ণ শ্যামল শম্পাবৃত প্ৰান্তরে গো, মেষ, ; মহিষাদি চরিতেছে। এরূপ দৃশ্যবৈচিত্র্যে হৃদয়ে যে অসীম আনন্দানুভব করি ছিলাম, তাহা কি ভাষায় ফুটিতে পারে? একটী সা সুষমার ভিতরে বিশ্বপতি জগদীশ্বরের যে মহিমা বিকাশ