পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डांब्रड्-डभ१ । খ্ৰীষ্টাব্দে ইহা ইংরেজাধিকারে আসিয়াছে। ইংরেজাধিকৃত হইবার পর হইতেই এ নগরের বহু পরিমাণ উন্নতি সাধিত হইয়াছে ও হইতেছে। আমরা প্ৰথমে কেন্টনমেণ্ট দেখিতে যাই। উহা নগরাংশ হইতে প্ৰায় ৩৷৷ মাইল দূরে অবস্থিত। মুলতান সহরও নগর এবং ছাউনী এই দুই ভাগে বিভক্ত। নগরাংশ অপেক্ষা ছাউনীভাগ পরিষ্কৃত ; তথায়ই অধিকাংশ বাঙ্গালী ভদ্রমহােদয়গণ বাস করিয়া থাকেন। নগরের একটী বাঙ্গালী ভদ্র লোক আদালতের প্রধান উকীল । মুলতান নগরটি চন্দ্ৰভাগা, ইরাবতী ও বিতস্তা সঙ্গমের দেড়ক্রোশ পূর্বাংশে অবস্থিত। এ স্থানে একটা দুর্গ ছিল, অস্থাপি তাহার ভগ্নাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। নগরের তিন দিক উচ্চ প্ৰাচীর দ্বারা বেষ্টিত--কেবলমাত্র দক্ষিণাংশে ইরাবতী নদীর প্রাচীন খাত নগর ও দুর্গের অভ্যন্তর দিয়া ক্ষীণধারায় মন্থর গমনে প্ৰবাহিত হইতেছে। মূলতানের আশে পাশে অনেক দেব-মন্দিরের ভগ্নাবশেষ রহিয়াছে। আমরা প্ৰহলাদপুরীটি দেখিবার জন্য উৎসুকমনে তথায় উপনীত হইলাম। একটী সুবিশাল মন্দির মধ্যে হরিভক্ত প্ৰহলাদ, হিরণ্যকশিপু এবং : নৃসিংহমূৰ্ত্তি দর্শনে হৃদয়ে অপূর্ব ভক্তির ভােব উচ্ছসিত হইয়া উঠিল। সদায়ের দৃঢ়তা ও একাগ্ৰতা থাকিলেই যে সাধকেরা সিদ্ধিলাভ করিতে পারেন--প্ৰহলাদের জীবনে তাহা পূর্ণরূপে বুঝিতে পারা যায়। যেখানে হিন্দুর দেব-মন্দির, প্ৰায় সেখানেই মুসলমানের কোনও মসজিদ কিম্বা সমাধিমন্দিব দেখিতে পাওয়া যায়। কাশী-বিশ্বেশ্বরের বাড়ীর, অযোধ্যায় রামের জন্মভূমির এবং অন্যান্য দেবস্থানের মসজিদই তাহার উদাহরণ স্থল। প্ৰহলাদপুরীর মন্দিরসন্নিকটেও একটী মুসলমানের সমাধি আছে, উতাকে বাতুল হক সাহেব ফকীরের সমাধি কহে। একদা প্ৰহলাদপুরীর মন্দির অপেক্ষা তন্নিকটে মুসলমানগণ একটী উচ্চ মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করিতে গিয়া হিন্দ পাণ্ডীগণের মহাক্ৰোধে পতিত হইয়াছিল। এমন কি তাহা লইয়া উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল দাঙ্গাও ঘটে । রাজকীয় বিচারে মুসলমানগণ পরাজিত হওয়াতে-উক্ত মসজিদ আর নিৰ্ম্মিত হইতে S RR ,