পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমরা বিশেষ আনন্দের সহিত প্ৰহলাদপুরী দর্শন করতৃঃ যোগমায়ার : মন্দির দর্শনার্থ তথায় যাই। সে দিন একাদশী ছিল, হিন্দুনরনারীগণ দলে । দলে মন্দিরে উপনীত হইতে লাগিলেন। নানাজাতীয় বিধৰ্ম্মীর তীব্ৰ । অত্যাচারের মধ্য দিয়া ও হিন্দুধৰ্ম্মের এইরূপ অক্ষয় স্থিতির কথা চিন্তা । করিলে বিস্মিত না হইয়া থাকিতে পারা যায় না। নানাপ্রকার অন্ধকারের ভীষণাবস্থার মধ্য দিয়া এখনও হিন্দুধৰ্ম্ম স্বীয় গৌরবোজ্জ্বল মহিমায় চিরদীপ্তি । শালী, ইহাকি হিন্দুধৰ্ম্মের গৌরব-গরিমা জ্ঞাপক নহে? মন্দিরটি এবং তন্মধ্যস্থ প্রকোষ্ঠটি দেখিতে অতীব মনোহর। দিবা রাত্র দীপ শিখা এখানে । প্রজ্জ্বলিত থাকে—এখানে সূৰ্য্যকুণ্ড প্রভৃতি আরও কতিপয় হিন্দুতীর্থস্থল বিদ্যমান আছে । আমরা এখানকার বাজার দেখিয়া পরিতোষলাভ করিয়াছিলামরাস্তাগুলি বিশেষ প্ৰশস্ত না হইলেও পরিষ্কার পরিচছন্ন । বিবিধ রোসমী। ও পশমী বসনের জাঁকজমক পূর্ণ দোকানগুলি দর্শকদিগের চিত্ত আকর্ষণ করিয়া থাকে। ফল মূলের দোকানের ত কোন অভাবই নাই। এখানকার স্ফটিকাবৎ শুভ্ৰ মিশ্ৰী এবং বিলাতী পোর্টমেণ্টোর মত টিনের বড় বাক্স গুলি বিশেষ প্ৰসিদ্ধ। আমরা শিশুকাল । হইতেই মুলতানি হিঙ্গের কথা শুনিয়া আসিতেছি, তজ্জন্য নিতান্ত উৎসুক হইয়া নানাস্থানে হিঙ্গের কারখানা দেখিবার উদ্দেশে ভ্ৰমণ করিলাম, কিন্তু নগরের উপকণ্ঠে কিম্বা নগর মধ্যে কোন স্থানেই কিছু দেখিতে পাইলাম না। প্রকৃত পক্ষে মূলতানে হিঙ্গ প্রস্তুত হয় না। এখান হইতে বহুদূরে ፳ፍቆ`bፍ সিন্ধুপ্রদেশ এবং বেলুটি মুলতানে আসিত এবং এস্থান হইতে নানাস্থানে রপ্তানী হইত বলিয়া মুলতানি হিঙ্গ নামে সর্বত্র পরিচিত হইয়া আসিতেছে। পূর্বে এখানে হিঙ্গের বিস্তৃত কারবার ছিল, কিন্তু এখন সে সব কিছুই দেখিতে পাওয়া যায় না। বন্যার সময় মুলতান নগরে জল প্ৰবেশ করে বলিয়া এখানকার স্থানে স্থানে বঁধে দৃষ্ট হইল। গ্রীষ্মের সময় এখানে দারুণ উত্তাপ বোধ হয় বলিয় এখানকার অনেক ধনী ব্যক্তি গোলাপের পাপূড়ীর উপর সূক্ষম চাদর বিস্তৃত করতঃ আরামে শয়ন করিয়া থাকেন। । নানাকথা । ১২৩ ৷৷