পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । , সহিত আফিস, ছাউনী এবং নগর পরিভ্রমণ করতঃ বিশেষ শ্ৰীতিলাভ করিলাম। যে দিকেই দৃষ্টিপাত করি, সেদিকেই বরফ-বরফ-বরফ। রাত্রিকালে এস্থানের আরও দুই তিনটী বাঙ্গালী ভদ্রমহোদয়ের সহিত আলাপাদি হইল-ৰ্তাহাদের প্রত্যেকের ভদ্রোচিত ব্যবহারে যার পর নাই সুখী হইয়াছি। কোয়েটা অর্থে দুৰ্গ। খিলাতের আমীর এই দুর্গটি ব্রিটিশ গভমেণ্টকে অৰ্পণ করিয়াছেন। কোয়েটা অতি অল্প দিনের নগর । এখন পৰ্য্যন্ত ইহা পূর্ণ নাগরিক সৌন্দর্ঘ্যে প্রতিষ্ঠালাভ করিতে পারে নাই। আজি পৰ্য্যন্তও ইহা সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ নহে, সময় সময় পার্বত্য অসভ্য-অধিবাসীবৃন্দ। আসিয়া দাঙ্গাহাঙ্গামা করিয়া থাকে। সেদিন ছাউনীর মধ্যগত কোন আফিসের দুইজন প্রহরীকে মুতাবস্থায় পাওয়া গিয়াছে। কিছুদিন পূর্বে কয়েকজন পাহাড়িয়া লোকে কচ ষ্টেসনের সমস্ত অফিসার দিগকে খুন করিয়া চলিয়া গিয়াছে। রাত্ৰিতে প্ৰায় সকলেই শিয়রে পিস্তল রাখিয়া নিদ্রা যায়। এস্থানে একজন মুন্সেফ ও র্তাহার অধীনস্থ অপর কয়েকজন ব্যক্তি বিচারার্থ নিয়োজিত আছেন । এজেণ্ট গভর্ণরই এখানকার সর্বেসর্বা, তিনি কাহারও ধার ধারেন না, তাহাকে একরূপ হৰ্ত্তাকৰ্ত্তা বিধাতা বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। তিনি “ফ্রিণ্টিয়ার ল” নামক আইনানুযায়ী বিচার করিয়া থাকেন। আদালত, ফৌজদারী ইত্যাদি যাবতীয় মোকদ্দমার আপীলই র্তাহার দরবারে হইয়া থাকে । ইহার অনুমন্ত্যানুসারে ফাঁসী পৰ্য্যন্ত , হয়। কোন আফিসেই উকীল মোক্তারের কারবার নাই, উকীল মোক্তার আনিতে এজেণ্ট সাহেবের ইচ্ছাও নাই । আমরা শুনিতে পাইলাম যে, সীমান্ত প্রদেশে শাস্তিও অতিশয় গুরুতর। আমাদের দেশে খুন করিলে হস্তার ফাঁসী হইয়া থাকে, কিন্তু পেশোয়ার ও কোয়েটাতে হস্তারকের সঙ্গে সঙ্গে তাহার সহায়তাকারীরও ফঁাসী হইয়া থাকে। এতদূর কঠোর শাসন ও দণ্ডপ্ৰথা প্ৰচলিত থাকা সত্ত্বেও কিন্তু পার্বত্য অধিবাসীরা দৌরাত্ম্য করিতে নিবৃত্ত হইতেছে না। কাবুল যাওয়ার পথের মধ্যে “খাইবার পাস” পেশোয়ারের দিকে এবং “বোলান পাস” কোয়েটার দিকে। SVS