পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ത്ത কোয়েটা ১৮৭৬ খ্ৰীষ্টাব্দে সর্বপ্রথমে ব্রিটিশ গভৰ্মেণ্ট কর্তৃক অধিকৃত । হয়। বৰ্ত্তমান সময়ে ইহা ব্রিটিশ বেলুচিস্থানের অন্তৰ্ভক্ত একটী বিখ্যাত নগর এবং উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের মধ্যে ইহাই এখন । সৈন্যের প্রধান ছাউনীরূপে ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে। কোয়েটার প্রাচীন রেসিডেন্সী । ংস করিয়া ১৮৯২ খ্ৰীষ্টাব্দে গভৰ্মে ণ্ট উক্তস্থানে নূতন রেসিডেন্সী এবং তাহার নিকটে নানাবিধ আফিস আদালতাদি নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন। কোয়েটার ক্লাব সৌধটি দেখিতে বেশ সুন্দর, উহার মধ্যে পুস্তকাগার, বিলিয়ার্ড খেলিবার কক্ষ এবং অন্যান্য আবশ্যকীয় আমোদ-প্ৰমোদের অনুষ্ঠানোপযোগী কোন দ্রব্য সস্তারেরই অভাব নাই। কোয়েটার চতুর্দিকে ছোট ছোট গিরি- ; শৃঙ্গস্থ দুর্গগুলি ব্রিটিশসিংহের অধিকারভুক্ত। এখানকার ইংরেজকৰ্ম্মচারিগণ প্ৰত্যেকই বিশেষ ভদ্র এবং আমাদের এই ভ্ৰমণ ব্যাপারে তাহারা আমাদিগকে বিশেষ উৎসাহিত ও প্ৰশংসা করিলেন। আরও কতকগুলি দুৰ্গ আছে। কোয়েটার দুর্গে ব্রিটিশ সৈন্যগণের যেরূপ সর্ববিধ সুযোগ ও সুবিধা আছে ভারতের অন্য কোথাও সেরূপ নাই। এই সুদূরবীৰ্ত্তী সীমান্ত প্রদেশে সৈন্যগণের সুখ-স্বচ্ছন্দতার নিমিত্ত ইংরেজরাজের সর্বপ্রকারের সুবন্দোবস্ত বিশেষরূপে প্ৰশংসনীয় । কোয়েটার মধ্যগত বোটন ষ্টেসন হইতে একটি শাখা-রেলপথ বিস্তৃত। হইয়া চামান পৰ্য্যন্ত গিয়াছে --- উহাই গুলেস্তান হইয়া কান্দাহারে যাইবার প্রস্তাব হইতেছে । কান্দাহারের সহিত কোয়েট রেলপথে সংযোজিত হইলে, এই নগর শিল্প-বাণিজ্যে বিশেষ উন্নতিশালী হইয়া উঠিবে। কোয়েটার প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য। রমণীয় হইলেও শীতের অত্যধিক প্রকোপ বশতঃ নবাগত ব্যক্তির পক্ষে বিশেষ উপভোগ্য হইয় উঠে না । এখানকার রাস্তা-ঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, সুন্দর সুন্দর অট্টালিকাদ্বারা পরিশোভিত। থাকায় পৰ্বতপদ সংলগ্ন এই নগরীকে দূর হইতে বড়ই সুন্দর দেখায়। তুষারাবৃত সিতশুভ্ৰ গিরিশ্ৰেণী এখানকার এক বিশেষ সৌন্দৰ্য্য। বাঙ্গালীর ংখ্যা এখানে নিতান্ত অল্প । s ബടു>−4 - o do e o سپ ؛