পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই ;-খ্ৰীষ্টয় তৃতীয় কিংবা চতুর্থ শতাব্দীতে প্ৰথিতষশাঃ রাজা ধাবি কর্তৃক স্থাপিত যে লৌহস্তম্ভ বিদ্যমান আছে। উহার গাত্রের পশ্চিমদিকে যে সংস্কৃ অনুশাসন গভীর রূপে খোদিত আছে তাহা এই—“রাজা ধাবি যিনি নিজ ভুজ বলে বহুকাল সমগ্র ধরার অদ্বিতীয় অধীশ্বর হইয়াছিলেন, তাহার কীৰ্ত্তি স্বরূপ এই স্তন্তু স্থাপিত হইল। এ সমুদয় খোদিতলিপি তাহার শাণিত অসিধারাঙ্কিত শক্রগণের দেহের গভীর ক্ষতাঙ্কের ন্যায় তাহার কীত্তি চিরকাল ঘোষণা করুক।” এই লিপির পাঠোদ্বার সর্বপ্ৰথমে প্ৰিন্সেপ সাহেব কর্তৃক সম্পাদিত হইয়াছিল। কানিংহাম সাহেব অনুশাসনের লেখার ছাদ দৃষ্টে উহাকে গুপ্তবংশীয় নরপতিগণের সমসাময়িক বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন, কারণ গুপ্তবংশীয় নৃপতিগণের অনুশাসনের লেখা ও ইহার লেখা প্রায় একরূপ। এই লৌহস্তম্ভটি নিরেট, উহার ব্যাস ১৬ ইঞ্চি এবং দৈর্ঘ্য ৫০ ফিটু। কিম্বদন্তীর সহিত কিন্তু ঐতিহাসিকগণের মতের ঐক্য হয় না। জনপ্ৰবাদ হইতে জানিতে পারা যায় যে ইহার স্থাপয়িত মহারাজা অনঙ্গপাল । যদি এ কথা সত্য হয় তাহা হইলে এই স্তম্ভ খ্ৰীষ্টিয় অষ্টম শতাব্দীতে প্রোথিত হইয়াছিল। এইরূপ বলিতে হয়। এইরূপ একটা কিম্বদন্তী প্ৰচলিত আছে যে “ব্যাস রাজাকে ঐ স্তম্ভ ভূগর্ভে দৃঢ় রূপে প্রোথিত করিতে আজ্ঞা করেন এবং বলেন যে উহার দৃঢ়তার সহিতই তাহার রাজ্যের দৃঢ়তা স্থাপিত হইবে। তদনুসারে স্তম্ভ প্রোথিত হইল। ব্যাস। তঁহাকে বলিলেন, স্তম্ভ যথাস্থানে নিহিত হুইয়াছে, ইহার পাদমূল ভূগর্ভে বাসুকির মস্তকে গিয়া ঠেকিয়াছে, সুতরাং স্তম্ভও অচল এবং রাজার রাজলক্ষনীও অচল। কিন্তু স্তম্ভমূল বাসুকীর মাথায় ঠেকিয়াছে তাহ রাজার বিশ্বাস হইল না । তিনি স্তম্ভ খনন করাইতে আরস্ত করিলেন। খনন হইলে উহার পাদদেশে বাসুকীর শোণিত দৃষ্ট হইল। রাজা ফাঁফিরে পড়িলেন এবং নিজ সন্দিগ্ধতার জন্য অনুতাপ করিতে লাগিলেন। যাহা হউক ব্যাসকে পুনরায় আহবান করিয়া স্তম্ভ পুনঃস্থাপিত করিলেন। কিন্তু এবার আর কোন মতে স্তস্ত সেরূপ অটল ভাবে প্রোথিত হইল না, ‘চিলা’ অৰ্থাৎ আলগা রহিয়া গেল, সুতরাং তোমর বংশের রাজলক্ষনীও অচিরে পরহস্তগত হইল, এই ঢিল্লি অর্থাৎ চিলা স্তম্ভ হইতে নগরের নাম চিল্লি হইল। " లిసి